মন্দিরে চুরি : পলাতক তিন অভিযুক্তের ৮ বছরের কারাদণ্ড
৫ জুন : বাংলাদেশের ঢাকেশ্বরী মন্দিরে ২০০ ভরি সোনার গহনা চুরির ঘটনায় ৩ পলাতক অভিযুক্তের ৮ বছর করে কারাদণ্ড দিল আদালত। অভিযুক্তরা হল গরীব উল্লাহ ওরফে আসলাম, মণির হোসেন এবং মণিরুল। চুরির ঘটনার পর দীর্ঘ ১২ বছর ধরে তারা পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছে।
সোমবার ওই দু:সাহসিক চুরির মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকা অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম তোফাজ্জল হোসেন। আসামিদের ৮ বছরের কারাদণ্ডের পাশাপাশি চার হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে অতিরিক্ত ৪ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন বিরুদ্ধে আসামিদের গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। পাশাপাশি একই অভিযোগে অভিযুক্ত বাকি তিন আসামি শাহ আলম, সবুজ আহম্মেদ ও সেলিমের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো তথ্যপ্রমাণ পেশ না করতে পারায় বেকসুর খালাস করে দেওয়া হয়েছে।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে চুরির ঘটনাটি ঘটে
২০১১ সালের ৮ জানুয়ারি রাতে। মন্দিরের একাধিক গেটের তালা ভেঙে প্রায় ২০০ ভরি সোনার গহনা, চার লাখ ৬০ হাজার টাকা নগদ এবং পাঁচ-ছয় ভরি রুপোর গহনা নিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনার পরের দিনই ঢাকার চকবাজার থানায় অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে মামলা রজু করেন মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির তত্কালীন সভাপতি বীরেশ চন্দ্র সাহা। ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল ৬ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেয় মহানগর ডিবি পুলিশ। ২০১৩ সালে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত। এই মামলায় ২৩ সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।