কিশোরীকে যৌন নির্যাতন, ২৫ বছরের কারাদণ্ড যুবকের হাইলাকান্দিতে

বরাক তরঙ্গ, ২১ মে : তেরো বছরের এক কিশোরীকে যৌন নির্যাতনের দায়ে এক যুবককে ২৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করল আদালত। হাইলাকান্দির আদালতের বিশেষ বিচারপতি সঞ্জয় হাজরিকা এই রায়দান করেছেন শনিবার। ফার্স্ট ট্র্যাক আদালতে এই রায়দান করেছেন বিচারপতি হাজরিকা ।

প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গেছে, এই জঘন্য ঘটনাটি ঘটে ২০২২ সালের ১৬ জানুয়ারি। ওইদিন বিকেল ৩টা নাগাদ গ্রামের এক মন্দিরে কীর্তন শুনতে গেছিল বছর তেরোর এক কিশোরী। কিন্তু কীর্তন দেখে এদিন আর বাড়িতে ফেরেনি ওই কিশোরী। অনেক খোঁজাখুঁজির পর নাবালিকার পরিবারের সদস্যরা তাকে না পেয়ে রামনাথপুর থানায় নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি মামলা দায়ের করেন। রামনাথপুর পুলিশ মামলা নথিভুক্ত করে তদন্ত আরম্ভ করে। ঘটনার তিনদিন পর অর্থাৎ ১৮ জানুয়ারি সকালে স্থানীয় ধলাই সিট গ্রামের বিজয় বীনের বাড়ি থেকে হাতে শাঁখা সিঁদুর পরা অবস্থায় সেই নাবালিকা কিশোরীকে উদ্ধার করেন রামনাথপুর থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক নবজ্যোতি লাহন। তদন্ত শেষে পুলিশ মামলাটি আদালতে পাঠিয়ে দেয়।

হাইলাকান্দি আদালত মামলাটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বিশেষ মামলা নম্বর ৩/২২ এ রেজিস্ট্রার করে বিচার প্রক্রিয়া আরম্ভ করে। অভিযুক্ত বিজয় বীনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারা, নাবালিকা বিবাহ মামলার ৯ নং ধারা ও পকসোর ৪ নং ধারায় আদালত বিচারপ্রক্রিয়া আরম্ভ করে। আর মাত্র এক বছর চার মাসের মাথায় ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারপতি সঞ্জয় হাজরিকা শনিবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায়দান করেন।

এরমধ্যে আদালত ঘটনার তদন্তকারী আধিকারিক ও মেডিকেল অফিসার সহ মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে। এদিন বিচারপতি হাজরিকা তাঁর রায়ে পকসো আইনে অভিযুক্ত বিজয় বীনকে ২০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাস। অন্যদিকে, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৬৬ ধারায় বিজয় বীনকে ৫ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেছেন। সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাবাস। এই মামলায় সরকার পক্ষের আইনজীবী ছিলেন মনিকা দেব এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আফজল হোসেন লস্কর।

Author

Spread the News