হোম লাইনে পাইপের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রন্ধন গ্যাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেল এলাকা, বন্ধ করা হল মোবাইল-বিদ্যুৎ

বরাক তরঙ্গ, ১২ নভেম্বর : ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড থেকে রক্ষা পেল সোনাইয়ের সোনাবাড়িঘাট দ্বিতীয় খণ্ডের বেতখাড়িপার অঞ্চল। ওএনজিসির রন্ধন গ্যাসের হোম কানেকশন থেকে গ্যাস নির্গত হওয়ায় গোটা অঞ্চলে আতঙ্ক দেখা দেয়। সৃষ্টি হয় উত্তেজনা। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব ভারতী গ্যাস প্রাইভেট লিমিটেডের কাজের কর্মীদের ও বাড়ির লোকদের বক্তব্য দুই ধরনের হওয়া কিছুটা উত্তেজনা দেখা দিলে পৌঁছেন জিপি সভাপতির প্রতিনিধি সামসুল ইসলাম বড়ভূইয়া। তিনি পরিস্থিতি ও জনগণের ক্ষোভ আয়ত্বে রাখেন। শেষের দিকে ছুটে আসে পুলিশও।

হোম লাইনে পাইপের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রন্ধন গ্যাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেল এলাকা, বন্ধ করা হল মোবাইল-বিদ্যুৎ
সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।

এলাকার লোকদের অভিযোগ কর্মীদের গাফিলতির দরুন এ ঘটনা ঘটেছে। অল্পের জন্য ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় পুরো এলাকা। জানা যায়, ওই এলাকায় ধনেহরি প্ল্যান্ট থেকে ঘরে ঘরে রন্ধন গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার কাজ চলছে। বেশ কয়েকটি বাড়িতে কানেকশন ইতিমধ্যে দেওয়া হয়েছে। একই ভাবে স্থানীয় আব্দুল হেলিম মজুমদারের ঘরে কানেকশন দেওয়া হয়। কিন্তু তার ঘরের নির্মাণ কাজ চলায় বারান্দায় কানেকশনের লাইনটি বের করে রাখা হয়। শনিবার ওই লাইন দিয়ে বের হতে শুরু হয় গ্যাস। আব্দুল হেলিমের বয়ান অনুযায়ী লাইনের মুখে কোন নব বা বাল্ব না লাগিয়ে পলিথিন দিয়ে পেচিয়ে রেখে যায় কাজের লোকরা। এ দিন দুপুর বারোটা নাগাদ হঠাৎ পলিথিন উড়ে গিয়ে গ্যাস বের হতে শুরু হয়। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন তিনি বাড়ির লোকরা। ঘরের নির্মাণ কাজে থাকা এক ব্যক্তি মিটারের সাঁটা কাস্টমার কেয়ারে ফোন করেন। কিন্তু ফোনে ঠিকানা নিতে একের এক প্রশ্নের মুখে পড়েন। প্রায় কুড়ি মিনিট হয়ে যায়। শেষে এলাকার লোকরা ধনেহরি প্ল্যান্টে দৌঁড়ে গিয়ে খবরটি জানালে পুরো টিম পৌঁছে। এরপর পাইপের মুখে বাল্বটি বসানো হয়।

হোম লাইনে পাইপের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রন্ধন গ্যাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেল এলাকা, বন্ধ করা হল মোবাইল-বিদ্যুৎ

প্রায় এক ঘন্টা গ্যাস বের হলে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। বন্ধ করা হয় বিদ্যুতে লাইন। মোবাইলের সুইচ বন্ধ করে রাখা হয়। বাড়ির লোকদের সরিয়ে নেওয়া হয়। এক আতঙ্কময় পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এ সময় জিপি সভাপতির প্রতিনিধি পৌঁছে কাজের লোকদের কড়া ভাষায় কথা বলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার তদন্তের দাবি জানান তিনি।

হোম লাইনে পাইপের মুখ দিয়ে বের হচ্ছে রন্ধন গ্যাস, অল্পের জন্য রক্ষা পেল এলাকা, বন্ধ করা হল মোবাইল-বিদ্যুৎ

এ দিকে, পূর্ব ভারতী গ্যাস প্রাইভেট লিমিটেড এর সিনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পার্থদীপ চাংমাই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তিনি বলেন, তিন চারদিন ধরে গ্যাস সরবরাহ করা হয় ওই লাইনে। কিন্তু এমন ঘটনা ঘটেনি। হয়তো কোন শিশু বাল্বটি খুলে দিয়েছে। যারদরুন এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেন, ওই ব্যক্তির রান্না ঘরের কাজ শেষ হলে জিআই কাজ করা হবে। তাই বাল্ব লাগিয়ে গ্যাস বন্ধ করে রাখা হয়ে ছিল। শনিবার ফের বাল্ব লাগানো হয়েছ।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *