হিন্দুর কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই, ভারতীয় এবং হিন্দু উভয় শব্দই সমার্থক বললেন ভাগবত
২৫ সেপ্টেম্বর : শিলঙে পৌঁছলন সংঘ প্রধান মোহন ভাগবত। মেঘালয়ের রাজধানী শিলঙের ইউ-সোসো থাম মিলনায়তনে রবিবার আয়োজিত এক নাগরিক সমাবেশে বৌদ্ধিক প্রদান করছিলেন আরএসএস-প্রধান মোহন ভাগবত। সমবেশটি ঐতিহ্যবাহী খাসি পরম্পরায় সংঘ-প্রধানকে স্বাগত জানানোর মাধ্যমে শুরু হয়। সরসংঘচালককে ঐতিহ্যবাহী খাসি পোশাক পরিয়ে এবং পরম্পরাগত বাদ্যযন্ত্র উপহার দিয়ে উষ্ণ স্বাগত জানানো হয়েছে।
সমাবেশে বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে ড. ভাগবত আরও বলেন, আমরা হিন্দু, কিন্তু হিন্দুর কোনও নির্দিষ্ট সংজ্ঞা নেই। হিন্দুত্ব আমাদের পরিচয়। ভারতীয় এবং হিন্দু উভয় শব্দই সমার্থক শব্দ। এটি আসলে একটি ভূ-সাংস্কৃতিক পরিচয়, বলেন তিনি।
প্ৰাসঙ্গিক বক্তব্যে তিনি বলেন, সংঘ নিজের ব্যক্তিগত স্বার্থ ত্যাগ করে দেশের জন্য আত্মত্যাগ করতে শেখায়। দৈনন্দিন এক ঘণ্টার সংঘ-শাখায় স্বয়ংসেবকরা এই কল্যাণমূলক মূল্যবোধ এবং মাতৃভূমির প্রতি কর্তব্য সম্পর্কে শিখে। তিনি বলেন, আরএসএস এই দেশের প্রাচীন ইতিহাস থেকে ত্যাগের ঐতিহ্যের প্রতি দৃষ্টি নিবদ্ধ করে। আমাদের পূর্বপুরুষেরা বাইরের বিভিন্ন দেশে গিয়ে ভারতের মূল্যবোধ বিলি করেছেন। এই মূল্যবোধ জাপান, কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া এবং অন্যান্য অনেক দেশে আজও বিরাজমান। এ সম্পৰ্কিত বহু উদাহরণ টেনে ডা. ভাগবত কীভাবে কোভিড সংকটকালে ভারত বিভিন্ন দেশে ভ্যাকসিন পাঠিয়ে মানবতার সেবা করেছে, তার বর্ণনা করেছেন। এছাড়া, অতি সম্প্রতি প্রচণ্ড অর্থনৈতিক সংকটকালে ভারত শ্রীলঙ্কার পাশে দাঁড়িয়েছিল, সেই প্রসঙ্গও তিনি আজকের সমাবেশে তুলে ধরেছেন।
এ দিনের সমাবেশে শ্রোতাদের মধ্যে বহু শিক্ষাবিদ, রাজনৈতিক নেতৃবর্গের পাশাপাশি আধ্যাত্মিক এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে জড়িত ব্যক্তিরা অংশ নেন। ড০ মোহন ভাগবতের এই সফর ছিল তৃতীয় এবং সরসংঘচালক হিসাবে প্রথম। তাঁর দু-দিনের মেঘালয় সফর আগামীকাল সোমবার সমাপ্ত হবে। এর মধ্যে সংঘের বিভিন্ন স্তরের অধিকারি, কার্যকর্তা এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক নেতৃত্বের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হবে।