সোনাইয়ের তিন শিক্ষককে নিয়ে ফেবুতে তোলপাড়

বরাক তরঙ্গ, ৩ জুন : সোনাইয়ে তিন শিক্ষককে সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড়। চলছে জোর চর্চা। সক্রিয় রাজনীতি ও ব্যবসায় জড়িত তিন শিক্ষক কোন সময় নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষাদান করেন এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন। শামিম রেহমান নামের এক আইডি থেকে তিনজন শিক্ষকের নানা বিষয়ে পোস্ট করা লেখায় বিভিন্ন জন মতপোষন করেন। এ ছাড়া মনজুর আহমেদ চৌধুরীর নামে আরেক ফেবু আইডি থেকে শুধু একজন শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে পোস্ট দেখা গেছে।
শামিমের পোস্টে দেখা যায় একজন এলপি স্কুলের শিক্ষক তিনি হাইলাকান্দি এলাকার বাসিন্দা হলেও সোনাই শহরে বসবাস করেন। তিনি বর্তমান বিধায়কের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছেন। তার ফেসবুক প্রোফাইলে বিধায়ক প্রতিনিধি লেখা রয়েছ। বিগত দিনে একই দায়িত্ব পালন করেন আরেক বিধায়কের। সেই সুবাদে বর্তমান বিধায়ক আস্থা রেখেছেন বলে স্থানীয়দের ধারনা। তিনি তার সাগরেদদের মধ্যে কাজ দিয়ে ১৫ শতাংশ উপরিভাগ ভোগ করেন বলে অভিযোগ। তার লেখায় দ্বিতীয় শিক্ষক হলেন সোনাই মাধবচন্দ্র কলেজের ইতিহাস বিভাগের এক শিক্ষক। তিনি কলেজের বিভিন্ন দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে আবার সুবিধা পাওয়ার পর চুপ হয়ে যান। তৃতীয় শিক্ষক একই কলেজের বাংলা বিভাগের বলে উল্লেখ করেন শামিম। তিনি প্রাক্তন বিধায়ক আমিনুল হক লস্করের ঘনিষ্ঠ বলে বিভিন্ন এনজিওর টাকা পকেটস্থ করেছেন। বর্তমান বিধায়কের ছায়া পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।

সোনাইয়ের তিন শিক্ষককে নিয়ে ফেবুতে তোলপাড়

তার এই পোস্টে নাকিব লস্কর মত প্রকাশ করতে গিয়ে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেন। ফকরুল এইচ লস্কর কমেন্ট করে বলেন, কিছু অধ্যাপক নিজের কলেজকে সাইড ইনকাম মনে করেন। বুলন খান বলেন, ব্যবসা করতে হলে চাকরি ছেড়ে দিন। রাজীব কমল মত জানিয়ে বলেন অন্যায়ের প্রতিবাদ না করাও একটা অন্যায়। রাগীব মোহাম্মদ লিখেন কলেজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এবং রাজনীতি রিচার্সসেন্টার। এ ভাবে বেশ কিছু মত ভেসে উঠে ফেবুতে।

এ দিকে, বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, কলেজের সব শিক্ষকরাই যথারীতি দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। এই দুই বিভাগের শিক্ষকও তার বাইরে নয়। তারাও নিয়মিত ক্লাস করাচ্ছেন। অধ্যক্ষ এও বলেন, কলেজের সময়ের পর কে কি করছেন সেবিষয়ে তাঁর আওতার ভিতরে নয়। তাই কিছুই বলতে পারবেন না। এ ছাড়া ফেবুর পোস্ট নিয়ে বলেন, হয়তো ব্যক্তিগত স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটায় এ ধরনের পোস্ট। তিনি পুরো বিষয়টি হালকা করেই দেখছেন।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *