কাছাড়ে মাধ্যমিক ফলাফলে শূন্যের কোঠায় ১২ টি স্কুল, শো-কজ নোটিশ
সালেপুর লাইহোদেবী মণিপুরী হাইস্কুলে সাত পরীক্ষার্থীর পরিবর্তে বারো শিক্ষক
বরাক তরঙ্গ, ১০ জুন : এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে আজব কাণ্ড চোখে পড়ল। ফলাফল শূন্যের কোঠায় রয়েছে জেলার ১২ টি স্কুল। এর মধ্যে আজব ঘটনা কাছাড় জেলার নরসিংহপুরের সালেপুর লাইহোদেবী মণিপুরী হাইস্কুলের। ওই স্কুলের পরীক্ষার্থী ছিল সাতজন। তাদের শিক্ষক ছিলেন ১২ জন। এই বারো শিক্ষক একজন পড়ুয়াকেও পাস করাতে পারেনি। এ কাণ্ডে এলাকায় ক্ষোভ পরিলক্ষিত হচ্ছে।
এ ছাড়া প্রাদেশিকীকৃত চারটি, সাতটি ভেঞ্চার স্কুল উত্তীর্ণের খাতায় নাম লেখাতে পারেনি। প্রাদেশিকীকৃত অন্য চারটি স্কুল হলো নরসিংহপুরের (বেরাবাক) খুরশেদ আলি-সুখদেব নাথ হাইস্কুল, লক্ষীপুর গার্লস হাইস্কুল, কাবুগঞ্জ বেকিরপার এলাকার নেহেরু গার্লস হাইস্কুল এবং কাটিগড়ার ফুলবাড়ি পাবলিক হাইস্কুল। সাতটি ভেঞ্চার বা সম্পূর্ণ বেসরকারি স্তরের স্কুল হলো-দেওয়ান গ্রুপ হাইস্কুল, গড়েরভিতর দীননাথপুর হাইস্কুল, পালোই হাইস্কুল, লাবকপার অসমিয়া হাইস্কুল, মারুয়াছড়া ট্রাইবাল হাইস্কুল, ডলুবাগান প্রাইভেট হাইস্কুল ও দরগাকোনা পাবলিক হাইস্কুল।
চারটি স্কুলের মধ্যে খুরশেদ আলি- সুখদেব নাথ হাইস্কুল থেকে মাধ্যমিকে বসেছিল ১৮ জন, আর স্কুলে শিক্ষকের সংখ্যা ৯ জন। লক্ষীপুর গার্লস হাইস্কুলের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ২৩, এর বিপরীতে শিক্ষক রয়েছেন ৮জন। নেহেরু গার্লস হাইস্কুলে পরীক্ষার্থী ৯ এবং শিক্ষকের সংখ্যা ৭। ফুলবাড়ি পাবলিক হাইস্কুল থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৪০ জন সেইস্থলে শিক্ষক রয়েছেন ৯ জন।
স্কুলগুলোর এমন ফলাফল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে জেলার শৈক্ষিক মহলে। প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলার স্কুল সমূহের পরিদর্শক সেমিনা ইয়াসমিন আরা রহমানও। করোনার জেরে লকডাউন, অনলাইন ক্লাস ইত্যাদির দরুন পঠন-পাঠনে সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার কথা তুলে ধরলেও সঙ্গে তিনি বলেন, যাই হোক এভাবে শূন্য ফলাফল মেনে নেওয়া যায় না। শিক্ষক শিক্ষিকারা এর দায়ভার এড়াতে পারেন না কোনও অবস্থায়ই। বেতন গুনবেন আর পড়ুয়াদের পাস করার মতো উপযুক্ত করে তুলতে পারবেন না, এসব তো চলতে পারে না। কেন একজনও পরীক্ষার্থী পাশ করতে পারেনি এনিয়ে স্কুলগুলোর কর্তৃপক্ষকে “শো-কজ” করা হয়েছে বলে জানান তিনি।