সমুদ্রের ঢেউয়ে মহিলার চোখের সামনেই ভাসিয়ে নিল স্বামী সহ দুই সন্তানকে

১৫ জুলাই : ওমানের সমুদ্র সৈকতে ঘুরতে গিয়েছিল মহারাষ্ট্রের একটি পরিবার। এরপর তারা সমুদ্রে স্নান করতে নামে। তবে স্নান করতে নেমে আর জীবিত ফিরতে পারল না বাবা ও দুই সন্তান। উত্তাল ঢেউতে তলিয়ে গেল তিনজনেই। পরে বাবা ও ছেলের দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এই ভয়াবহ হাড়হিম করা ঘটনা ক্যামেরাবন্দি করেছেন অপর এক পর্যটক।

বুধবার একটি ভিডিয়ো নেটমাধ্যমে ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছিল, সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে বহু পর্যটক। কেউ ঢেউয়ের জলে ভিজছেন, কেউ সেই দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি করছিলেন।

অন্য পর্যটকদের মতো দুই ছেলেমেয়ে শ্রেয়স (৬), শ্রুতি (৯) এবং স্ত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের আছড়ে পড়া ঢেউয়ে ভিজছিলেন শশীকান্ত মহামানে। কিন্তু সেই ঢেউই যে তিন জনের প্রাণ কেড়ে নেবে ঘুণাক্ষরে আঁচ করতে পারেননি শশীকান্ত।

সমুদ্রের ঢেউয়ে মহিলার চোখের সামনেই ভাসিয়ে নিল স্বামী সহ দুই সন্তানকে

সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, স্ত্রী এবং দুই সন্তানকে নিয়ে কর্মসূত্রে দুবাইয়ে থাকেন মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা শশীকান্ত। ছেলেমেয়ে এবং স্ত্রীকে নিয়ে ছুটি কাটাতে প্রতিবেশী দেশ ওমানে গিয়েছিলেন শশীকান্ত। রবিবার সেখানে পৌঁছেছিলেন।

বুধবার সমুদ্রের ধারে বেড়াতে যান শশীকান্তরা। সমুদ্রের উত্তাল ঢেউ আছড়ে পড়ছিল পাথুড়ে পাড়ের উপর। পর্যটকরা সাধারণত ওই জায়গাতেই ঘুরতে আসেন। বুধবারও প্রচুর পর্যটক সমুদ্রের দৃশ্য উপভোগ করছিলেন নানা ভাবে। কেউ ঢেউয়ের জলে ভিজছিলেন, কেউ আবার ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন। স্ত্রী এবং দুই ছেলেমেয়েকে নিয়ে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়েছিলেন শশীকান্ত। কিন্তু জলের সেই স্রোতে পড়ে দুই ছেলেমেয়ে তাঁর হাত ছিটকে গড়িয়ে যাচ্ছে দেখে শশীকান্ত তাদের আটকাতে এগিয়ে যান। কিন্তু পাড় পিচ্ছিল থাকায় নিজেকে সামলাতে পারেননি। ছেলেমেয়েকে নিয়েই সমুদ্রে ভেসে যান শশীকান্ত। কেউ কেউ দৌড়ে তাঁদের আটকাতে গিয়েছিলেন, কিন্তু তত ক্ষণে তিন জনই নাগালের বাইরে চলে যান। চোখের সামনে স্বামী, সন্তানদের অসহায়ের মতো ডুবতে দেখেন শশীকান্তের স্ত্রী।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *