মর্মান্তিক! লরির ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেট থেকে বেরিয়ে আসল নবজাতক, মৃত্যু তিনজনের

১৭ জুলাই : লরির ধাক্কায় অন্তঃসত্ত্বা মহিলার পেট থেকে বেরিয়ে আসল নবজাতক। শুধু তা নয় নবজাতক ভূমিষ্ট হলেও প্রাণ হারালেন শিশুর মা-বাবা ও বোন। এই মর্মান্তিক ও হৃদয় বিদারক ঘটনাটি বাংলাদেশের।  জানা যায়, শনিবার প্রায় ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী রত্না বেগমকে (৩২) ডাক্তার দেখানোর জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন দিনমজুর জাহাঙ্গীর আলম। সঙ্গে ছিল ছয় বছরের মেয়ে সানজিদাও। হাসপাতালে ডাক্তার দেখানোর পর উল্টোদিকে থাকা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করানোর জন্য রাস্তা পার হওয়ার সময় দ্রুতগামী লরি চাপা দেয় তিনজনকেই। একে একে মারা যান তিনজনই। তবে মৃত্যুর আগে প্রসব হয়ে যায় রত্নার। মায়ের গর্ভ ছেড়ে আসা নবজাতকটি পৃথিবীর আলো দেখলেও তা যেন তার সারা জীবনের জন্য অন্ধকার।    

বেঁচে যাওয়া নবজাতকটি স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে কমিউনিটি বেইসড মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। শিশুটির একটি হাত ভেঙে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। পরে ময়মনসিংহ লাবীব হাসপাতালের পরিচালক মো. শাহজাহান ব্যক্তিগত উদ্যোগে শিশুটিকে তাঁর হাসপাতালে নিয়ে অর্থোপেডিক সার্জন সোহেল রানার মাধ্যমে হাতে প্লাস্টার করে সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। শিশুটির অন্য কোথাও সমস্যা হয়নি বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক শাহজাহান।

শাহীন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, ‘আমি মহাসড়কের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলাম। তিনজন একসঙ্গে একটু দাঁড়িয়ে যখন রাস্তা পার হচ্ছিল তখন অন্যদিক থেকে আসা একটি লরি ধাক্কা দিলে তিনজনই ছিটকে রাস্তার পাশে পড়ে যায়। এ সময় গর্ভবতী নারীর পেট থেকে বাচ্চাটা অর্ধেক বের হয়ে যায়। আমরা কয়েকজন দৌড়ে গিয়ে দেখি স্বামী-স্ত্রী দুজন মারা গেছেন। ছোট শিশু সানজিদাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়। এ সময় আমরা নবজাতক শিশুসহ তার মাকে কাছেই হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার শিশুটির নাড়ি কেটে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে সিবিএমসিতে পাঠান।’ এ ঘটনায় গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *