বিধানসভার বাজেট অধিবেশনে সিভিল হাসপাতালের বিষয় তুলে ধরতে সোনাই বিধায়ককে স্মারকপত্র

বরাক তরঙ্গ, ৯ ফেব্রুয়ারি : সোনাইর বিধায়ক করিম উদ্দিন বড়ভূইয়ার হাতে শিলচর সিভিল হাসপাতাল আধুনিকীকরণ দাবি কমিটির পক্ষ থেকে একটি স্মারকপত্র প্রদান করে শিলচর সিভিল হাসপাতালকে তিনশো শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা সহ আধুনিকীকরণের দাবি বিধানসভার আগামী বাজেট অধিবেশনে উত্থাপন করতে অনুরোধ জানানো হয়। স্মারকপত্রে উল্লেখ করা হয় যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করে সংগঠনের পক্ষ থেকে দু’বার স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। তার সাম্প্রতিক শিলচর সফরে দাবি কমিটির এক প্রতিনিধি দল আবর্ত ভবনে দেখা করে হাসপাতালের বর্তমান অব্যবস্থার বিষয়ে আলোচনা করেন এবং ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে তদানীন্তন স্বাস্থ্যমন্ত্ৰী থাকাকালীন তাঁর দেওয়া ৩০০ শয্যার হাসপাতাল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি জানান। দাবি কমিটির পক্ষ থেকে একথা বিধায়ককে বলা হলে তিনি বলেন সিভিল হাসপাতালকে উন্নত মানের পরিকাঠামো সহ আধুনিক হাসপাতালে রূপান্তরিত করার ঘোষণা সরকারের পক্ষ থেকে শীঘ্রই করা হবে। এছাড়াও তিনি জানান শিলচর মেডিক্যাল কলেজকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করার কাজ শুরু হয়েছে। যেহেতু শিলচর সিভিল হাসপাতাল তার বিধানসভা কেন্দ্রের সীমানার মধ্যে পড়ে না তাই এব্যাপারে কথা বলাতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তবুও তিনি সিভিল হাসপাতাল আধুনিকীকরণের ব্যপারে সচেষ্ট রয়েছেন।  প্রতিনিধিরা তার সাথে সাক্ষাৎ কালে হাসপাতালের অব্যবস্থার কথা তুলে ধরে বলেন, “শিলচর সিভিল হাসপাতাল আধুনিকীকরণ দাবি কমিটি’ সহ ২১ টি সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে শিলচর সিভিল হাসপাতালকে তিনশো শয্যার হাসপাতালে উন্নীত করা সহ আধুনিকীকরণের লক্ষ্যে বিগত কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন ভাবে আন্দোলন সংগঠিত করে চলেছে। দাবি কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের নিকট কয়েকবার দাবি পেশ করে বলা হয় যে অতি শীঘ্র শিলচর সিভিল হাসপাতালকে ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করতে হবে এবং সরকার অনুমোদিত ২০ টি আইসিইউ স্থাপন করতে হবে এবং গুয়াহাটীর মহেন্দ্র মোহন চৌধুরী সিভিল হাসপাতালের আদলে শিলচর সিভিল হাসপাতালের আধুনিকীকরণ করতে হবে। এছাড়াও হাসপাতালে মেডিসিন, সার্জারি, শিশু, চক্ষু, ইএনটি, প্রসূতি, হাড়, দন্ত, মানসিক রোগ ইত্যাদি বিভাগ আলাদাভাবে গড়ে তুলতে হবে এবং প্রতিটি বিভাগের জন্য প্রয়োজনীয় সংখ্যক নার্স, স্বাস্থ্য কর্মী ও চিকিৎসক নিয়োগ করতে হবে ও সার্জারির জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো গড়ে তুলতে হবে। বর্জ্য নিষ্কাশনে ই টি পি স্থাপন করতে হবে এবং হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক‌ চিকিৎসক ও কর্মী নিয়োগ করতে হবে। ব্ল্যাড ব্যাঙ্ককে ২৪ ঘণ্টা কর্মক্ষম রাখতে হবে ও ব্লাড সেপারেশন যন্ত্র অবিলম্বে স্থাপন করতে হবে এবং হাসপাতালের জমি কোনো অজুহাতে বেসরকারি সংস্থার হাতে তুলে দেওয়া চলবে না।

দাবি কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে  সরকারের পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কোনো সদর্থক ভূমিকা পালন পরিলক্ষিত না হওয়াতে জেলার সাত বিধায়ককে উক্ত দাবিতে বিধানসভায় জোরালো দাবি উত্থাপন করতে স্মারকপত্র প্রদান করার সিদ্ধান্ত দাবি কমিটির পক্ষ থেকে গ্রহণ করা হয়েছিল এরই অংশ হিসেবে আজ করিম উদ্দিন বড়ভূইয়াকে স্মারকপত্র প্রদান করা হয়। স্মারকপত্র প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক হানিফ উদ্দিন বড়ভূইয়া, কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য যথাক্রমে বিবেক আচার্য, হিল্লোল ভট্টাচার্য ও দিলু দাস।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *