পুরানো আইনে সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব প্রদানের নির্দেশ

১ নভেম্বর : পুরানো আইনে আফগানিস্তান-পাকিস্তান-বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের নাগরিকত্ব! তাত্‍পর্যপূর্ণ নির্দেশ অমিত শাহের মন্ত্রকের।

সংসদে আইন তৈরি হওয়ার পরে যে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল দেশ, সেই আইন নয়, ১৯৫৫ সালের নাগরিকত্ব আইনেই আপাতত বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টানদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ব্যাপারে নির্দেশ দিয়েছে অমিত শাহের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক।
সোমবার গুজরাাতের মেহসানা এহং আনন্দ জেলার জেলাশাসকদের এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে পুরনো নাগরিকত্ব আইনে নাগরিকত্ব দেওয়ার এই নির্দেশ যথেষ্টই তাত্‍পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে বর্তমানে কোনও ব্যক্তিকে নাগরিক হিসেবে আবেদন নথিভুক্তির সময় সব শর্ত অনুসরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গত অগাস্টে গুজরাতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হর্ষ সাংভি আহমেদাবাদ কালেক্টরেটে পাকিস্তান থেকে আসা ৮০ জন হিন্দুকে ভারতীয় নাগরিকত্বের শংসাপত্র হস্তান্তর করেছিলেন। ২০১৭ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত সেখানে ১০৩২ জন পাকিস্তানিকে ভারতের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়েছে।

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন ২০১৯ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার বলেছে, এই আইন অসম কিংবা উত্তর-পূর্বের অন্য রাজ্যের স্থানীয়দের সাংস্কৃতিক অধিকারকে লঙ্ঘন করে না। এব্যাপারে সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা অসম ও ত্রিপুরার আবেদনের উত্তর দিতে সময় চেয়ে নিয়েছেন। সোমবার প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত, বিচারপতি রবীন্দ্র ভাট এবং বিচারপতি বেলা ত্রিবেদীর বেঞ্চে এনিয়ে শুনানি হয়। সেই সময় এই মামলা আগামী ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থগিত করে দেওয়া হয়।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *