নদীর পারই একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থ, অবহেলিত গড়েরভিতর গ্রাম, ক্ষোভ

বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর : সরকার তথা জনপ্রতিনিধিদের চরম অবহেলায় ধুঁকছে কাটিগড়া বিধানসভার সেউতি জিপির গড়েরভিতর গ্রাম। জনপ্রতিনিধিদের উদাসীনতায় হারাং নদীর ভাঙনে ভিটেমাটি হারানোর পর প্রায় সাতশ পরিবারের একমাত্র রাস্তাটিও বিলীন হয়ে গেল। এতে ওই গ্রামের জনগণের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হচ্ছে। মঙ্গলবার চলাচল করার জন্য স্বেচ্ছায় গ্রামবাসী নিজেদের বাড়ির গাছপালা কেটে চাঁদা তুলে পথ তৈরিতে নামলেন। এদিন সংবাদ মাধ্যমকে পাশে পেয়ে সরকার ও জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ঝাড়লেন গ্রামের সন্তোষ রায়, সুখেন্দু দেবনাথ, ঋষিকেশ দাস, জীতেন্দ্র রায়, কাজলী রায়, প্রীতি নাথ, সমীর রায়, নারায়ণ রায়, কল্পনা দাস সহ শতাধিক লোক। তারা বলেন, গড়েরভিতর দ্বিতীয় খণ্ডের লোকরা বছরের পর বছর নদীর পার দিয়ে আসা যাওয়া করছেন। তাদের জীবনে কোন পরিবর্তন হয় না। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে।ভাঙনে তলিয়ে যাওয়া নদীর তীর দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে অনেক দুর্ঘটনা ঘটছে। স্কুল পড়ুয়া থেকে পথচারীরা নদীতে পড়ে হাত-পা ভাঙার মত ঘটনা রয়েছে।

নদীর পারই একমাত্র যোগাযোগ ব্যবস্থ, অবহেলিত গড়েরভিতর গ্রাম, ক্ষোভ

গ্রামের মহিলারা ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, নির্বাচন এলে ধর্মের নামে ভোট নিয়ে যান। নির্বাচন পর সব বৃথা। তারা বলেন, বিগত সরকারের আমলে তারা স্বপ্ন দেখেছিলেন, এ যাত্রায় হয়তো ভাঙন মেরামত কিংবা চলাচলের ব্যবস্থা হবে। কেন না বিজেপি দলের বিধায়ক ছিলেন। হিন্দু হিন্দু করে জয়ী হওয়া প্রাক্তন বিধায়ক অমর চাঁদ জৈনের কাছে বারবার গেলেও গড়েরভিতর হিন্দুদের দুর্দশা দুর হয়নি। এভাবেই ক্ষোভ ব্যক্ত করেন মহিলারা। তারা বলেন, মহিলা রোগী নিয়ে যাওয়ার চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, রাস্তা নেই, ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে এর মধ্যে নদী থেকে মহাল ছাড়া বালু উত্তোলনে মানুষ যেমন আতঙ্কিত তেমনই নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিভাগ উদাসীন।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *