দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পত্তির মামলায় প্রাক্তন ওসি এবং স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
২৭ জুলাই : দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পত্তির মামলায় শেষমেশ প্রাক্তন ওসির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হল। সঙ্গে স্ত্রীও কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন। বাংলাদেশের টেকনাফ থানার প্রাক্তন ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারনের দুর্নীতি মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করেছে আদালত। রায়ে প্রদীপ কুমার দাশকে ২০ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। এছাড়া তার স্ত্রী চুমকি কারন ২১ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন। জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন, সম্পদের তথ্য গোপন এবং অর্থপাচারের দায়ে কয়েকটি ধারা মিলিয়ে এ দণ্ডাদেশ দেন চট্টগ্রামের বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ। রায়ে তাদের অবৈধভাবে সম্পদ রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করারও আদেশ দেন আদালত। প্রদীপ কুমার দাশ সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ হত্যা মামলায় ফাঁসির আসামি। এর আগে গত ১৭ জুলাই প্রদীপ-চুমকি দম্পতির বিরুদ্ধে দায়ের করা দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেছিলেন চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ জজ মুন্সী আবদুল মজিদের আদালত। প্রদীপ দম্পতির পক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হলে রায় ঘোষণার দিন নির্ধারণ করেন আদালত। ওইদিন আদালতে প্রদীপ ও তার স্ত্রী চুমকিও উপস্থিত ছিলেন।
![দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পত্তির মামলায় প্রাক্তন ওসি এবং স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পত্তির মামলায় প্রাক্তন ওসি এবং স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড](https://baraktaranga.com/wp-content/uploads/2022/07/113148occ.jpg)
গত ৪ এপ্রিল আবেদন নিষ্পত্তি হওয়ায় প্রদীপের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। মামলায় ২৯ জনকে সাক্ষী করা হলেও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) এর পক্ষে ২৪ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। আসামিপক্ষের দুজন সাফাই সাক্ষ্য দেন। মামলার শুরু থেকে চুমকি কারন পলাতক থাকলেও গত ২৩ মে রাষ্ট্রপক্ষের সাক্ষ্যগ্রহণের শেষ দিন তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।