ডিজিটাল মিডিয়ার স্বীকৃতির জন্য নির্দেশিকা কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের
৯ ফেব্রুয়ারি : দেশের সাংবাদিকদের জন্য নয়া নির্দেশিকায় কড়া বার্তা দিল কেন্দ্রীয় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। পাশাপাশি এই সেন্ট্রাল মিডিয়া অ্যাক্রেডিটেশন গাইডলাইন-২০২২ তে অনলাইন সংবাদ প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য কাজ করা সাংবাদিকদের স্বীকৃতির জন্য নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে। অনলাইন সংবাদ প্ল্যাটফর্মগুলির জন্য নতুন নির্দেশিকায় স্বীকৃতির জন্য আবেদনকারী ডিজিটাল সংবাদ প্রকাশকদের স্বীকৃতির জন্য আবেদন করতে হলে তথ্য প্রযুক্তি আইন ২০২১ এর ১৮ নম্নর রুল অনুযায়ী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রকের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, অনলাইন প্ল্যাটফর্মটি এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চালু থাকতে হবে এবং ওয়েবসাইটের “ওয়েবসাইটের ক্যাগ-অনুমোদিত/ তালিকাভুক্ত অডিটরদের মাধ্যমে যথাযথভাবে প্রত্যয়িত গত ছয় মাসের গড় মাসিক অনন্য ভিজিটর সংখ্যা ” রিপোর্ট জমা দিতে হবে। যদি আবেদনকারীর জমা দেওয়া তথ্য মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়, তাহলে তাঁকে পরবর্তী তিন বছর স্বীকৃতির জন্য আবেদন করা থেকে বিরত রাখা হবে।
এ ছাড়া মন্ত্রকের নতুন নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, দেশের “নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব এবং অখণ্ডতা” এবং “জনশৃঙ্খলা, শালীনতা বা নৈতিকতার” প্রতি ক্ষতিকর এমন কাজ যদি সাংবাদিকরা করেন তাহলে তাঁরা তাঁদের সরকারি স্বীকৃতি হারাবে। সোমবার এই নতুন নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কোনও ক্ষেত্রে আদালত অবমাননা, মানহানি বা অপরাধের প্ররোচনা দেন” তাহলে সেই সাংবাদিকের স্বীকৃতি প্রত্যাহার করা
হবে বা স্থগিত করা হবে। এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, যদি কোনও সাংবাদিক বা তিনি যে সংস্থায় কাজ করেন সেই সংস্থা কোনও জাল তথ্য বা নথিপত্র পরিবেশন করেন বা করে তাহলেও তাঁর স্বীকৃতি বাতিল করা হবে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, “এই ধরনের ঘটনায় সাংবাদিক/মিডিয়া সংস্থাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের জন্য স্বীকৃতি থেকে বঞ্চিত করা হবে কিন্তু দুই বছরের কম নয়, যেমনটি সেন্ট্রাল মিডিয়া অ্যাক্রিডিটেশন কমিটির মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।”
এছাড়াও, স্বীকৃত মিডিয়া ব্যক্তিদের পাবলিক/সোশ্যাল মিডিয়া প্রোফাইল, ভিজিটিং কার্ড, চিঠির শিরোনাম বা অন্য কোনও ফর্ম বা কোনও প্রকাশিত কাজের উপর “ভারত সরকারের স্বীকৃত” শব্দগুলি ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে।