শিলচর শহরের বন্যা কবলিত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া তদারকি জেলাশাসকের
কাছাড়ের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে
বরাক তরঙ্গ, ২৫ জুন : কাছাড়ের জেলাশাসক কীর্তি জল্লি শনিবার এনডিআরএফ দলের সঙ্গে শনিবার শিলচর শহরের বিভিন্ন বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া তদারকি করেন।
শুক্রবার, কাছাড়ের বর্তমান ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী ডাঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার নির্দেশে অডম সরকারের সাত জন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জেলার পরিস্থিতি এবং ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করতে শিলচরে পৌঁছেছেন।
এ দিকে, কাছাড় জেলা প্রশাসন জেলায় ত্রাণ বিতরণ প্রক্রিয়াকে আরও জোরদার করেছে, শুক্রবার চণ্ডীঘাটের ২টি জলের ট্যাঙ্কারকে শিলচরের আম্বিকাপট্টি ও হাসপাতাল রোডে বন্যার্তদের জন্য পানীয়জল সরবরাহ করা হয়। এছাড়া শিলচরে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুনরায় চালু করার জন্য এপিডিসিএল এর সিইও, এজিএম, (আরবান) এর নেতৃত্বে কর্মীরা বিদ্যুৎ সরবরাহ করার জন্য কঠোর চেষ্টা করছেন এবং কিছু এলাকায় ইতিমধ্যেই বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়েছে।
উল্লেখ, ২৫ জুন বিকেল ৪ টা পর্যন্ত কাছাড় জেলার দৈনিক বন্যা প্রতিবেদন অনুসারে মোট ৪৬০টি গ্রাম বন্যায় আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে কাটিগরায় ১৫৩টি গ্রাম, লক্ষীপুরের ৬০ টি গ্রাম, ১৩০টি গ্রাম শিলচরে, সোনাইয়ের ৯০টি গ্রাম এবং উধারবন্দের ২৭ টি গ্রামে, যেখানে ২৭৭৮৯৫ জন লোক আক্রান্ত হয়েছে যার মধ্যে ১০৭৭৫১ জন পুরুষ, ৯৭২৩৬ জন মহিলা এবং ৭২৯০৮ জন শিশু।
দৈনিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জেলার ২২৪ টি ত্রাণ শিবিরে মোট ১০৯৮৬৮ জন আশ্রয় গ্রহণ করছেন, যার মধ্যে ৪২১০৩ জন পুরুষ, ৩৮৮৩০ জন মহিলা, ২৮৯৩৫ জন শিশু।
ডিডিএমএ থেকে প্রাপ্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সোনাইয়ের আজমল হুসেন ভূমিধসের কারণে মারা গেছে যেখানে জেলায় বন্যার জলে ১২৪৫৬টি পশুও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
কাছাড় জেলায় ৫৬ টি মোটরচালিত নৌকা মোতায়েন করা হয় এবং ৫৪৮৭ জনকে সেনা, আধাসামরিক বাহিনী এবং এনডিআরএফ মারফতে সরিয়ে নেওয়া হয় এবং বিমান বাহিনীর হেলিকপ্টার দিয়ে টানা তৃতীয় দিনেও শিলচর শহর বন্যা কবলিতদের বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের বিমান ড্রপিং অব্যাহত ছিল।
প্রতিবেদন : জনসংযোগ, শিলচর।