কাউন্সিলের শুভেচ্ছা বার্তা : বরাকবঙ্গ সহ সাংসদ, বিধায়কদের প্রতিবিধানের উদ্যোগ নিতে আহ্বান বিডিএফের

বরাক তরঙ্গ, ১৫ মার্চ : উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের শুভেচ্ছা জানাতে ফের ভাষা আইনকে তোয়াক্কা না করে শুধু অসমিয়া ও ইংরেজি ভাষায় লেখা ব্যানার বরাকের স্কুলগুলোতে পাঠিয়েছে পরীক্ষা পরিচালন সংস্থা আসাম হায়ার সেকেন্ডারি কাউন্সিল। সরকারি এই পদক্ষেপকে ধিক্কার জানিয়ে বরাক বঙ্গের নবগঠিত কমিটি এবং বরাকের সাংসদ বিধায়কদের এই ব্যাপারে কার্যকরী পদক্ষেপ নেবার আহবান জানাল বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট।

এক প্রেস বার্তায় ফ্রন্টের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক হৃষীকেশ দে বলেন, আমরা দলের জন্মলগ্ন থেকে এইধরণের সরকারি পদক্ষেপের প্রতিবাদ করে আসছি। এরজন্য অতীতে আমাদের অনেক সরকারি দমন-পীড়নের মুখোমুখিও হতে হয়েছে ,যা সবাই জানেন। কিন্তু এরপরও যেহেতু এভাবে একই ভুলের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে তাই আমাদের সন্দেহ এটা ইচ্ছাকৃতভাবে করা হচ্ছে এবং একাদশ শহীদের আত্মবলিদান সহ বরাকের এই আবেগকে মূল্য দিতে সরকার অনিচ্ছুক। তাই আমরা এবার বাকি সব সংগঠনকে একজোটে প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান  জানাচ্ছি। হৃষীকেশ বলেন সম্প্রতি বরাক বঙ্গের দ্বিবার্ষিক অধিবেশন হয়েছে, গঠিত হয়েছে নতুন কমিটি। যেহেতু প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী এই সংগঠন বরাকের অভিভাবক স্বরূপ তাই আমরা তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে উক্ত সরকারি পদক্ষেপের প্রতিবাদে সরব হবার আহ্বান জানাচ্ছি। তিনি বলেন এছাড়া ভাষা সুরক্ষা সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠন রয়েছে বরাকে। তাঁদেরও কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে। সবাই একজোট হয়ে প্রতিবাদ জানালেই একমাত্র এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান সম্ভব।

বিডিএফ যুব শাখার মূখ্য আহ্বায়ক কল্পার্ণব গুপ্ত বলেন যে সংশ্লিষ্ট ব্যাপারে বরাক বঙ্গের সাম্প্রতিক অধিবেশনে বিডিএফ এর বিগত দিনের ভুমিকা নিয়ে সমালোচনা করেছেন শিলচরের বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী। তিনি বলেন আমরা দেখেছি ভাষা আইন সুরক্ষায় বিডিএফ এর কার্যক্রমকে তার মতো আরো অনেকেই কাঠগড়ায় তুলেছেন, আতিশয্য বলে অভিযোগ করেছেন। তিনি বলেন  যেহেতু সরকারি তরফে ফের ভাষা আইন উল্লঙ্ঘন হচ্ছে তাই আমরা আশাকরি যে তাঁরা এবার কার্যকরী পদক্ষেপ নেবেন। অন্যথা বুঝে নিতে হবে যে দিশপুর তোষন করে ব্যাক্তিগত স্বার্থোদ্ধারই তাদের মূল এজেন্ডা,ভোটারদের প্রতি দায়বদ্ধতা নয়। এব্যাপারে সাংসদ রাজদীপ রায়ের ভুমিকাও লক্ষ্যনীয় হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
বিডিএফ এর অন্যান্য সদস্যরা এদিন নিজ উদ্যোগে সরকারি ব্যানারের পাশাপাশি বাংলায় লেখা শুভেচ্ছা বার্তার ব্যানার লাগানোর জন্য উচ্চতর মাধ্যমিক শিক্ষক ও কর্মচারী সংস্থার কর্মকর্তাদের অকুণ্ঠ সাধুবাদ জানিয়েছেন। তাঁরা এও বলেছেন যে বারবার যেহেতু ভাষা আইন লঙ্ঘিত হচ্ছে তাই এবার এই অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার চিন্তাভাবনা করছে বিডিএফ। অবিলম্বে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *