এবারে জাতীয়স্তরের মহিলা রেফারি তৈরি লক্ষ্যে রেফারিজ ট্রেনিং সেন্টার
বরাক তরঙ্গ, ১৭ আগস্ট : জাতীয় রেফারি তথা নিজেদের প্রতিষ্টানের প্রথম ব্যাচের ছাত্র আব্দুল মজিদ চৌধুরী, ক্রীড়া সংগঠক চন্দন শর্মা ও জেললার অন্যতম ক্রীড়া সংগঠন ভেটারেন ক্রিকেটার্স ক্লাবকে সংবর্ধিত করল শিলচর রেফারিজ ট্রেনিং সেন্টার। রবিবার শিলচরের এক বিবাহ ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে সম্মান জানানো হয়। রেফারিজ ট্রেনিং সেন্টারের সভাপতি ডাঃ সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্য পৌরোহিত্য অনুষ্ঠিত এদিনের সভায় জাতীয় রেফারি আব্দুল মজিদ চৌধুরীকে উত্তরীয়, স্মারক ও ব্লেজার দিয়ে সংবর্ধিত করেন বাবুল হোড়, ডাঃ সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্য, প্রবীর দাস প্রমুখ। সংগঠক চন্দন শর্মা ও ভেটারেন ক্রিকেটার্স ক্লাবকে উত্তরীয় ও মোমেন্টো দিয়ে সম্মাননা জানানো হয়।
আব্দুল মজিদ, চন্দন শর্মা ও ভেটারেন ক্রিকেটার্স ক্লাবকে সম্মাননা
অনুষ্ঠানে সভা আয়োজনের উদ্দেশ্য ও সংগঠন প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত এক পরিলেখ তুলে বক্তব্য রাখেন সচিব তথা প্রাক্তন জাতীয় রেফারি প্রবীর দাস। তিনি বলেন, এক সময়ে শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় রেফারিদের আকাল দেখা দেয়। তিনি সেন্টার প্রতিষ্ঠার সংক্ষিপ্ত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন, ২০১৪ সাল থেকে সোনাই এলাকার ১৬ জন ও উধারবন্দ এলাকা থেকে ৪ জন নিয়ে যাত্রা শুরু হয় সেন্টারের। সোনাইর বদর উদ্দিন মজুমদার ও উধারবন্দের সঞ্জু রায় প্রথমে সহযোগিতা করেন। পরে জেলার অন্যতম শল্য চিকিৎসক ডাঃ সিদ্ধার্থ ভট্টাচার্য ও অন্যান্যদের সহযোগিতায় সেন্টার প্রতিষ্ঠা পায় এবং অতি দ্রুত আব্দুল মজিদ চৌধুরীর মতো জাতীয় রেফারি লাভ করে রেফারিজ ট্রেনিং সেন্টার। তিনি বলেন, হাইলাকান্দি, রামকৃষ্ণনগর ও লক্ষীপুরে ইতিমধ্যে রেফারিজ রেফারি শিবির করে নিয়েছে ট্রেনিং সেন্টার। সভাপতি ডাঃ সিদ্ধার্থ শংকর ভট্টাচার্য বলেন, কেবল ছেলে নয়, মেয়েদেরকেও জাতীয় রেফারি হিসেবে প্রতিষ্টা পাওয়া এখন তাদের লক্ষ্য। তিনি, রেফারি প্রতিষ্ঠায় শিলচর কখনো পিছিয়ে থাকবে না। সভায় রেফারি প্রতিষ্ঠায় রেফারিজ ট্রেনিং সেন্টারকে যাবতীয় সাহায্য ও সহযোগিতা করে যাবেন বলে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন উপদেষ্টা তথা জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি বাবুল হোড়। এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন শান্তনু সেনগুপ্ত । তাকেও আয়োজকদের তরফে উত্তরীয় ও মোমেন্টো দিয়ে সম্মানিত করা হয়।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।