আনন্দবাজার থেকে ভগবানপুর বেহাল পূর্ত সড়ক, আন্দোলনে উত্তাল

বরাক তরঙ্গ, ২৬ মে : কাটলিছড়া রাজস্ব সার্কলের আনন্দবাজার থেকে ভগবানপুর পর্যন্ত বেহাল পূর্ত সড়কটি সংস্কারের দাবিতে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতি ও রাইজর দল’র প্রতিবাদী গণসত্যাগ্রহ আন্দোলনে উত্তাল হল বৃহত্তর হরিশনগর এলাকা। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় পূর্ব ঘোষণা মতে কয়েকশো মানুষকে সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামেন কৃষক মুক্তি ও রাইজর দল’র নেতৃবর্গরা। রাইজর দল’র কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন লস্কর, কৃষক মুক্তির জেলা সভাপতি শরিফ উদ্দিন মাঝারভূইয়া ও ছাত্র মুক্তি সংগ্রাম সমিতির কেন্দ্রীয় উপসভাপতি ফরিদ উদ্দিন লস্করের নেতৃত্বে এদিনের প্রতিবাদে পূর্ত বিভাগ হায় হায়, সুজাম উদ্দিন মুর্দাবাদ প্রভৃতি স্লোগান দিয়ে এলাকা সরগরম করে তোলা হয়। খবর পেয়ে কাটলিছড়ার সার্কল অফিসার পুলক বিশ্বাস, পূর্ত বিভাগের এসডিও সুব্রত দাস, জেই ইসতিয়াক মোহাম্মদ, ওসি রাতুল কুমার দাস আন্দোলন স্থলে উপস্থিত হন।

আনন্দবাজার থেকে ভগবানপুর বেহাল পূর্ত সড়ক, আন্দোলনে উত্তাল

এসডিও সুব্রত দাস জানান, পূর্ত বিভাগের পক্ষ থেকে এসডিআরএফ প্রকল্পের মাধ্যমে রাস্তাটি তড়িঘড়ি সংস্কারের জন্য তারা প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। তাই আগামী মাসের মধ্যে রাস্তাটি সংস্কার করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করে তিনি আন্দোলন প্রত্যাহার করতে কৃষক মুক্তি ও রাইজর দল’র নেতৃবর্গকে অনুরোধ করেন। এসডিও-র আশ্বাসে এদিনের গণসত্যাগ্রহ আন্দোলন সাময়িক প্রত্যাহার করেন প্রতিবাদকারীরা। তারা বলেন, প্রতিশ্রুতি মতো একমাসের মধ্যে কাজ না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন।
এদিন, রাইজর দল’র নেতা জহির উদ্দিন লস্কর তীব্র ক্ষোভ ব্যক্ত করে বলেন, বেহাল এই রাস্তা দিয়ে মানুষ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করলেও স্থানীয় বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্করের ভূমিকা দূর্ভাগ্যজনক। তিনি বলেন, বিধায়ক গুয়াহাটীর এসি রুমে জিম করে স্বাস্থ্য ঠিক করছেন। কিন্তু বৃহত্তর হরিশনগর, ভগবানপুর এলাকার মানুষ ভাঙ্গা রাস্তা দিয়ে চলাচল করে স্বাস্থ্য নষ্ট করছেন। অথচ বিধায়কের কোনো হেলদোলই নেই। ছাত্র মুক্তির নেতা ফরিদ উদ্দিন লস্কর বলেন, বিধায়ক সুজাম উদ্দিন লস্কর উন্নয়নের নামে ফাঁকা ঢোল বাজাচ্ছেন। হরিশনগরের রাস্তা সংস্কারে পদক্ষেপ না নিলে বিধায়কের বিরোদ্ধে গণ আন্দোলনে নামার হুশিয়ারী দিয়েছেন ছাত্রনেতা ফরিদ উদ্দিন লস্কর।
প্রতিবেদক : এবি লস্কর, লালা।

Author

Spread the News

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *