আগরতলায় বিএসএফ ও বিজিপি-র সীমান্ত সম্মেলন সম্পন্ন
১০ ডিসেম্বর : তিনদিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন হল বিএসএফ ও বিজিপি-র। আগরতলায় গত ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হওয়া সীমান্ত সম্মেলন সমাপ্ত হয় শুক্রবার। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স এর ফ্রন্টিয়ার ইন্সপেক্টর জেনারেলস্ ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং মিজোরাম ও কাছাড় ফ্রন্টিয়ার এবং বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ এর রিজিয়ন কমান্ডারস চট্টগ্রাম, সরাইল ও কক্সবাজার রিজিয়ন এবং ময়মনসিংহ সেক্টর এর মধ্যে এই সীমান্ত সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
বিএসএফ ত্রিপুরা ফ্রন্টিয়ারের ইন্সপেক্টর জেনারেল সুমিত শরণ, আইপিএস এর নেতৃত্বে ১২ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
অপরদিকে বিজিবি এর দক্ষিণ-পূর্ব রিজিয়ন, চট্টগ্রাম এর রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল তানভির গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে ১৩ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশ নেন।
![আগরতলায় বিএসএফ ও বিজিপি-র সীমান্ত সম্মেলন সম্পন্ন আগরতলায় বিএসএফ ও বিজিপি-র সীমান্ত সম্মেলন সম্পন্ন](https://baraktaranga.com/wp-content/uploads/2022/12/Picsart_22-12-02_01-22-03-714-76-1024x685.jpg)
সম্মেলনের শুরুতে বিএসএফ প্রতিনিধি দলের প্রধান ইন্সপেক্টর জেনারেল সুমিত শরণ, আইপিএস ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ও সার্বিক সহযোগিতার জন্য বিজিবি ও বাংলাদেশ সরকারকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তিনি কার্যকর সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নে উভয় বাহিনীর যৌথ প্রচেষ্টার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।
বিজিবি প্রতিনিধি দলের প্রধান তানভির গনি চৌধুরী সীমান্তে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখতে উভয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর ভুমিকার কথা উল্লেখ করে সীমান্ত সমস্যা সমাধানে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি-১৯৭৫ অনুসরণ এবং কার্যকরভাবে সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি উভয় বাহিনীর মধ্যে বিদ্যমান সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক ও পারস্পরিক সহযোগিতায় অত্যন্ত সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং ভবিষ্যতে এ সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন।