“ভারতীয় ইতিহাস চর্চা” বিষয়ক কর্মশালা জিসি বিশ্ববিদ্যালয়ে
বরাক তরঙ্গ, ২৬ সেপ্টেম্বর : গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগ এবং ভারতীয় ইতিহাস সংকলন সমিতি, কাছাড় জেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে ২৫ থেকে ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত “ভারতীয় ইতিহাস চর্চা” বিষয়ক ৩০ ঘণ্টার একটি ইন্টার্নশিপ সহ কর্মশালা শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার যা চলবে শনিবার পর্যন্ত।
অনুষ্ঠানের সূচনা হয় প্রয়াত শিল্পী জুবিন গর্গ কন্ঠে গাওয়া গান অসমের রাজ্য সঙ্গীতের মাধ্যমে। এটি ছিল তাঁর প্রতি এক হৃদয়স্পর্শী শ্রদ্ধাঞ্জলি। কর্মশালায় দেশবরেণ্য ইতিহাসবিদ ও শিক্ষাবিদরা অংশগ্রহণ করেন। ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিহাস চর্চার বিভিন্ন পদ্ধতি নিয়ে বিশদে আলোচনা করা হয়।
কর্মশালায় অখিল ভারতীয় ইতিহাস সংকলন যোজনা, নতুন দিল্লির জাতীয় সাধারণ সম্পাদক হেমন্ত ধিং মজুমদার ভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে ইতিহাস রচনার গুরুত্ব বিষয়ক মূল বক্তৃতা প্রদান করেন। তাঁর বক্তব্যে দেশজ ঐতিহ্য ও নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি পুনরুদ্ধারের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক সুপর্ণা রায় ইতিহাস চর্চার প্রধান দিকসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাঁর আলোচনা ভারতীয় ইতিহাস চর্চার বিবর্তন ও তার বিস্তার সম্পর্কে গভীর উপলব্ধি অর্জনে সহায়তা করে। শ্রীভূমি রবীন্দ্রসদন গার্লস কলেজের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নীলাঞ্জন দে জাতীয়তাবাদী ও মার্কসবাদী ইতিহাস চর্চার তুলনামূলক বিশ্লেষণ তুলে ধরেন এবং তা জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিকোণ থেকে ব্যাখ্যা করেন। এই কর্মশালার প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়। তিনি ইতিহাস চেতনার নতুন রূপ গঠনের লক্ষ্যে এ ধরনের কর্মশালার গুরুত্ব নিয়ে বক্তব্য রাখেন। গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান রাজংগ নারজারি পড়ুয়াদের উদ্দেশে বক্তব্য প্রদান করেন এবং সমকালীন ইতিহাস চর্চায় ইতিহাস তত্ত্বের শৈক্ষিক গুরুত্ব তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অতিথি অধ্যাপক ড. দেবাঙ্গনা নাথ। এই কর্মশালার সমন্বয়কারী ও সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অভিজিৎ জয়সওয়াল।