আজ মেরামেরি, কাল মকরসংক্রান্তি, উৎসব মেজাজে গ্রাম কাছাড়
বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জানুয়ারি : আবহমান ধরে বাঙালির ঐতিহ্যের পরম্পরা আজ মেরামেরি। আগামীকাল পৌষসংক্রান্তি তথা মকরসংক্রান্তি। এই মেরামেরির অস্থায়ীর ঘরে মাছ -মাংস স্ফুর্তি করে রাতযাপন এবং পরদিন সকালে সকালে স্নান সেরে ঘর আগুনে দিয়ে উত্তাপ নেওয়া। তারপর পৌষসংক্রান্তির পিঠাপুলি খাওয়া।
মেরামেরির অস্থায়ী এ ঘরটি তৈরি করা হয় পৌষ সংক্রান্তির রাতে। তারপর সেই খড়কুটো দিয়ে তৈরি মেরামেরির ঘরটির মাঝে ছোট-বড়রা মিলেমিশে গান-বাজনা আমোদপ্রমোদ করতে থাকে।
চলে সাধ্য অনুযায়ী খাওয়া-দাওয়া। পরের দিন সকালে ওঠে স্নান সেরে ঘরটাকে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়ে এর চারপাশ ঘিরে পৌষসংক্রান্তির পিঠা খাওয়া মেরামেরির একটি রীতি।
মহাভারত–এর অনন্য চরিত্র ভীষ্মের ছিল ইচ্ছামৃত্যুর শক্তি। উত্তরায়ণ আসার আগে শরশয্যায় ৫৮ দিন কাটিয়ে পৌষসংক্রান্তিতে তিনি দেহত্যাগ করেন। তাঁর স্মরণেই নাকি তৈরি হয় মেরামেরি ঘর।
মেরামেরিকে কেন্দ্র গ্রাম কাছাড়ে চলছে বেলাঘর তৈরি। শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে এক আনন্দময় পরিবেশ দেখা যায়। সবাই যেন ব্যস্ত। রাতে এই ঘরে খাওয়াদাওয়া হবে। এরপর সকালে স্নানের পর ঘরটি জ্বালিয়ে আগুন পোহানো হবে।
এ দিকে, বরাকের প্রতিটি সনাতনী পরিবার সংক্রান্তিতে পিঠেপুলি তৈরি করে। রকমারি পিঠে তৈরিতে পরিবারের বড়রা ব্যস্ত।