অমানবিক কাণ্ড! ইয়ার্কি করায় পাঁচ বছরের শিশুর হাত-পা বেধে পিঁপড়ার চাকে রেখে গেল দুই যুবক
১৯ অক্টোবর : ইয়ার্কি করার শাস্তি পেল নাবালক। হাত-পা বেঁধে তাকে বসিয়ে দেওয়া হল পিঁপড়ার (ant) চাকে। অমানবিক এই ঘটনাটি ঘটেছে নদীয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর পঞ্চায়েতের সাহেবডাঙা গ্রামে।
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকেল থেকেই দীর্ঘক্ষণ ধরে নিখোঁজ ছিল পাঁচ বছরের ওই নাবালক। খোঁজাখুঁজি করে শেষপর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা হয় পিঁপড়া ভর্তি একটি চাকের ওপর। তার কথা অনুযায়ী, তার বাড়ির কাছে এক যুবকের সঙ্গে ইয়ার্কি মারার ‘অপরাধে’ তাকে এই শাস্তি পেতে হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকেল তিনটে থেকেই ওই এলাকার বাসিন্দা জাহিদ আলি ধাবক-এর পাঁচ বছরের নাবালক পুত্রের কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। মা রোজিনা বিবি ও বাবা জসিদ সেই সময় বাড়ি ছিলেন না। তাঁরা ফিরে এসে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। আশেপাশে কোথাও খুঁজে না পেয়ে তারা যখন তাকে একটি খেলার মাঠে খোঁজ করতে যান তখন দেখেন পথেই একটি নির্জন জায়গায় তাঁদের ছেলেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় একটি পিঁপড়ার চাকের ওপর ফেলে রাখা হয়েছে।
উদ্ধারের পর দেখা যায় পিঁপড়ার কামড়ে ছেলেটির শরীরের নানা জায়গা ফুলে উঠেছে। যন্ত্রনায় ছেলেটি কাঁদছিল। তার অভিযোগ অনুযায়ী, প্রতিবেশী ইসমাইল ধাবকের সঙ্গে ইয়ার্কি করার জন্য তাকে ইসমাইল ও পাড়ারই আরেক যুবক সাইফুল মিলে চাকের ওপর হাত-পা বেঁধে ফেলে দিয়েছিল। এমনকী ওই দু’জন ছেলেটিকে ঘটনার কথা কাউকে না জানাতে হুমকি দেয় বলেও অভিযোগ।
অন্যদিকে কামড়ের বিষক্রিয়ায় ছেলেটি অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে শান্তিপুর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে সে আপাতত চিকিৎসাধীন।
খবর : আজকাল ডট ইন।