ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক চাপালেন ট্রাম্প
৩ এপ্রিল : ভারত, চিন সহ বেশ কয়েকটি দেশের পণ্যে পালটা বা পারস্পরিক শুল্ক চাপালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোলান্ড ট্রাম্প । বুধবার আমেরিকার স্থানীয় সময় বিকেল ৪টা নাগাদ (ভারতীয় সময় রাত দেড়টা) এই বিষয়ে বিস্তারিত ঘোষণা করেন তিনি। ভারতীয় পণ্যের উপর আরোপ করা হয়েছে ২৬ শতাংশ শুল্ক। এই ২ এপ্রিলকে আমদানি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে আমেরিকার জন্য ‘মুক্তি দিবস’ হিসেবে আগেই ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প।
শুল্ক ঘোষণার সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বন্ধুত্বের প্রসঙ্গ নিয়েও বলেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমার একজন ভালো বন্ধু। সম্প্রতি তিনি আমেরিকা থেকে ঘুরেও গিয়েছেন। কিন্তু আমি তাঁকে বলেছিলাম, আপনি আমার বন্ধু, কিন্তু শুল্কের ব্যাপারে আপনি আমাদের সঙ্গে সঠিক আচরণ করছেন না। ভারত আমাদের থেকে ৫২ শতাংশ শুল্ক নেয়। কিন্তু বছরের পর বছর ধরে আমরা ভারতের থেকে প্রায় কিছুই নিইনি। তাই এখন থেকে আমরা তার অর্ধেক, ২৬ শতাংশ শুল্ক নেব।’
এদিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিককদের মুখোমুখি হয়ে একটি বড় চার্ট দেখান ট্রাম্প। যেখানে কোন দেশের উপরে কত শতাংশ শুল্ক চাপানো হচ্ছে তার উল্লেখ রয়েছে। ন্যূনতম ১০ শতাংশ শুল্ক রাখা হয়েছে। সর্বাধিক শুল্ক ৪৯ শতাংশ, যা কম্বোডিয়ার উপরে চাপিয়েছেন ট্রাম্প। আগামী ৯ এপ্রিল থেকে এই নতুন শুল্ক কার্যকর হবে। ভারতের উপর ২৬ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে আমেরিকা। এছাড়া, চিনের উপর ৩৪ শতাংশ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের উপর ২০ শতাংশ, ভিয়েতনাম ৪৬ শতাংশ, জাপান ২৪ শতাংশ, দক্ষিণ কোরিয়া ২৫ শতাংশ, যুক্তরাজ্যে ১০ শতাংশ, দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০ শতাংশ, থাইল্যান্ড ৩৬ শতাংশ এবং সুইজারল্যান্ডের উপর ৩১ শতাংশ শুল্ক চাপানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে আরও অনেকগুলি দেশই।

দ্বিতীয়বার আমেরিকার মসনদে বসেই ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, কয়েকটি দেশ আমেরিকার পণ্যে অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করে, তাই ২ এপ্রিল থেকে সেসব দেশের থেকে আমেরিকাও অতিরিক্ত আমদানি শুল্ক আদায় করবে। যদিও এদিন ট্রাম্প জানিয়েছেন, শুল্ক সম্পূর্ণরূপে পারস্পরিক হবে না। কারণ দেশগুলি যতটা শুল্ক আমেরিকার উপর চাপিয়েছে, তার প্রায় অর্ধেক শুল্ক ওই দেশগুলির উপর আরোপ করেছে আমেরিকা। তাই এই পদক্ষেপকে ‘সদয় পারস্পরিক’ (Kind reciprocal) বলে অভিহিত করেছেন ট্রাম্প।