ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা, দাবি ট্রাম্পের
২২ জুন : ইরানের তিনটি পরমাণু কেন্দ্র লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রবিবার সকালে এ তথ্য জানান। দখলদার ইজরায়েলের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তারা এ হামলার সমন্বয় করেছেন।
এ দিকে, মধ্যপ্রাচ্যের চলমান উত্তেজনা আরও বেড়েছে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, ইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র—ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান—“সম্পূর্ণ ধ্বংস” করা হয়েছে। জাতির উদ্দেশে দেওয়া টেলিভিশন ভাষণে তিনি এই তথ্য জানান, যা টাইমস অব ইজরায়েল রবিবার প্রকাশ করে।
প্রচারিত সেই ভাষণে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী “ব্যাপক নির্ভুল হামলা” চালিয়ে ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতার মূলে আঘাত করেছে। উদ্দেশ্য ছিল—ইরানের সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি অক্ষম করে দিয়ে, “বিশ্বের এক নম্বর সন্ত্রাস-সমর্থক রাষ্ট্রের” পক্ষ থেকে আসা পারমাণবিক হুমকি দূর করা।
ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী একই সময়ে ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান স্থাপনায় হামলা চালিয়ে সব বড় উরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ সুবিধা ধ্বংস করেছে। এর আগে ফক্স নিউজ উপস্থাপক শন হ্যানিটির কাছে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, ফোর্দো পাহাড়ের নিচে থাকা লক্ষ্যবস্তুর ওপর ছয়টি ‘বাঙ্কার-বাস্টার’ বোমা ও আকাশ-প্রতিরক্ষা ফাঁকি দিতে সাবমেরিন থেকে ৩০ টি টোমাহক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহূত হয়েছে। ট্রাম্পের ভাষায়, “এই অভিযান অসাধারণ সফল।”

ভাষণে তিনি সতর্ক করেন, “ইরানকে এখন শান্তির পথে আসতেই হবে। না হলে ভবিষ্যতের হামলা আরও বড় এবং অনেক সহজ হবে।” তিনি বলেন, গত ৪০ বছর ধরে ইরান ‘আমেরিকার মৃত্যু হোক, ইজরায়েলের মৃত্যু হোক’ স্লোগান দিয়ে হাজার হাজার মানুষ হত্যা করেছে, যা আর সহ্য করা হবে না।
এদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলার পর পর ইজরায়েলে উচ্চসতর্কতা জারি করা হয়েছে। ইজরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) হোম ফ্রন্ট কমান্ড সব স্কুল, গণজমায়েত নিষিদ্ধ করেছে। অতি প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাইরে বের না হতেও নির্দেশনা দিয়েছে তারা।
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইসরায়েল, খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।