ভোলানন্দ গিরি মহারাজের তিরোধান উৎসব পালন শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমে
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ মে : প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রমে মঙ্গলবার কৃষ্ণ চর্তুদশী তিথিতে ব্রাহ্মলীন শিব স্বরূপ ১০৮ স্বামী ভোলানন্দ গিরি মহারাজের ৯৬ তম উৎসব বিভিন্ন সনাতন ধর্মীয় নানা কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয়। এদিন ব্রহ্মমুহূর্তে মঙ্গলারতি, সকাল ৮ টায় গুরু পূজা, ১১-৩০ মিনিটে রাজভোগ, গীতা ও ভোলাগিরি মহারাজের স্মৃতিচারণ, সন্ধ্যা ৬ টায় থেকে সন্ধ্যা উপাসনা ও বেদপ্ত শান্তি মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, বৃষভের সঙ্গে বাঘের সমন্বয় ঘটাবার মত কিছু অসম্ভব অলৌকিক ঘটনা মাঝেমধ্যে এই পৃথিবীতে ঘটে থাকে। তবে সেইসব ঘটনার কান্ডারীরা কোন সাধারণ মানুষ নন। তাঁরা হলেন জগতের মুক্তি দূত, জীবের পরম আশ্রয়, আশার আলো, মানুষের জীবনপথের দিশারী সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী। যাদের পুণ্য করস্পর্শে দেশ ও জাতির মরা গাঙে আসে নবজাগরণের জোয়ার। সংকীর্ণ ধর্মের বেড়াজাল যায় ভেঙে। তমসাচ্ছন্ন আদর্শভ্রষ্ট জাতি জেগে ওঠে নব প্রাণ কল্লোলে। ঠিক সেই রকমই একজন হলেন আধুনিক ভারতের ভগীরথ তথা নবযুগের চালক শ্রীশ্রী ১০৮ স্বামী ভোলানন্দ গিরি মহারাজ।
এ দিন অনুষ্ঠানটির পরিচালনায় ছিলেন সম্পাদক ভোলানাথ চৌধুরী, কোষাধ্যক্ষ সৌমেন দত্ত চৌধুরী, সৌমিত্র দত্ত রায়, সুরোজিৎ সোম, সুশান্ত সেন, উত্তম দেব, শুভ্রজিৎ কর, উমা সাহা, বাপ্পা দত্ত, সুমিত পাল, পুরোজিৎ পালচৌধুরী, বাসন্তী রায়, লক্ষ্মী রায় সহ অন্যান্যরা।