বনধে তেমন সাড়া নেই পাথারকান্দির বিভিন্ন এলাকায়
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ৯ জুলাই : পাথারকান্দির কটামণি, লোয়াইরপোয়া বাজারিছড়ায় দশ ট্রেড ইউনিয়নের বনধে তেমন সাড়া নেই, স্বাভাবিক ছিল জীবনযাত্রা।দেশজুড়ে দশটি জাতীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং তাদের সহযোগী সংগঠনগুলির ডাকে বুধবার সকাল ৫টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত সর্বাত্মক বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন রাজ্যে এই বনধে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দির অন্তর্গত লোয়াইরপোয়া, বাজারিছড়া ও কটামণি এলাকায় বনধের বিশেষ কোনও প্রভাব লক্ষ্য করা যায়নি। এই বনধের প্রেক্ষিতে কিছু এলাকায় বড় যাত্রীবাহী বাসগাড়ির চলাচল বন্ধ ছিল ঠিকই, তবে ছোট যানবাহন যেমন অটো, টুকটুক, রিকশা ও পণ্যবাহী মিনি ভ্যান অব্যাহতভাবে চলাচল করেছে। সাধারণ মানুষ যথারীতি যাতায়াত করেছেন। লোয়াইরপোয়া বাজারিছড়া ও কটামনির অধিকাংশ দোকানপাট ও ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ছিল খোলা। চায়ের দোকান থেকে শুরু করে ওষুধের দোকান, মুদি দোকান সবই চলেছে আগের মতো। কর্মব্যস্ততা ছিল স্বাভাবিক দিনের মতোই। সবচেয়ে লক্ষণীয় বিষয় হলো, বনধের সমর্থনে এই এলাকাগুলিতে কোনওরকম পিকেটিং বা বিক্ষোভ দেখা যায়নি। স্থানীয় মানুষজনের বক্তব্য অনুযায়ী, তাঁরা বনধে আস্থা রাখেননি, কারণ এতে দৈনন্দিন জীবনে অসুবিধা হয় এবং ছোট ব্যবসায়ীদের বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। আমরা সাধারণ মানুষ। প্রতিদিনের আয়ে সংসার চলে। তাই দোকান বন্ধ রাখলে আমাদের ক্ষতি হয়। তাছাড়া এখানে কেউ জোর করে কিছু বন্ধ করাতে আসেনি বলেন লোয়াইরপোয়ার এক মুদি দোকানদার।
এদিন পুরো বনধকালীন সময় জুড়ে বৃহত্তর বাজারিছড়া, লোয়াইরপোয়া ও কটামণি এলাকায় কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবেই দিনটি কেটেছে।যেখানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বনধে আংশিক বা পূর্ণ সাড়া পাওয়া গেছে, সেখানে পাথারকান্দির এই অংশে বনধ কার্যত প্রভাবহীন থেকে গেছে। এটি এই অঞ্চলের নাগরিক সচেতনতাও প্রতিফলিত করে, যেখানে মানুষ নিজের বিবেক দিয়ে সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন।