প্রেমিকের সাহায্যে স্বামীকে ১৫ টুকরো করল স্ত্রী
২০ মার্চ : প্রেমিকের সাহায্য নিয়ে নিজের স্বামীকে খুন করল স্ত্রী। শুধু তাই নয়, প্রথমে স্বামীর দেহ ১৫ টুকরো করা হয়। এরপর প্রমাণ লুকোতে দেহের টুকরোগুলি ড্রামে ভরে সিমেন্ট দিয়ে সেই ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। হাড়হিম করা এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মিরাটে (Meerut)। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিযুক্ত স্ত্রী ও তার প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সৌরভ রাজপুত। ২০১৬ সালে মুসকান রাস্তোগিকে প্রেম করে বিয়ে করেন পেশায় মার্চেন্ট নেভি অফিসার সৌরভ। কিন্তু বিয়ের পর থেকে সৌরভের পরিবারের সঙ্গে মুসকানের বনিবনা না হওয়ায় ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন দুজনে। এমনকি স্ত্রীকে সময় দেওয়ার জন্য মার্চেন্ট নেভির চাকরিও ছেড়ে দেন সৌরভ। ২০১৯ সালে মুসকান একটি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। কিন্তু এরই মধ্যে সাহিল শুক্লা নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন মুসকান। যার জেরে সৌরভ ও মুসকানের সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। কিন্তু কন্যার ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিবাহবিচ্ছেদের পথে যাননি সৌরভ। এরপর ২০২৩ সালে আবার মার্চেন্ট নেভিতে যোগ দেন সৌরভ। কাজের সূত্রে লন্ডনে থাকতেন তিনি।
তবে গত ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে মেয়ের জন্মদিন উপলক্ষে লন্ডন থেকে মিরাটে ফিরে এসেছিলেন সৌরভ। এরপরই গত ৪ মার্চ সৌরভকে খুন করে মুসকান ও তার প্রেমিক সাহিল। পুলিশকে দেওয়ার তাদের বয়ান অনুযায়ী, গত ৪ মার্চ রাতে মুসকান সৌরভের খাবারে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে তাঁকে অজ্ঞান করে ফেলে। এরপর সাহিল বাড়িতে এসে সৌরভকে ছুরি দিয়ে খুন করে। তারপর দুজনে মিলে দেহ ১৫ টুকরো করে ড্রামের ভেতরে ঢুকিয়ে রাখে। আর সিমেন্ট দিয়ে সেই ড্রামের মুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এদিকে, স্বামীকে খুন করার পরই প্রেমিকের সঙ্গে পাহাড়ে ছুটি কাটাতে চলে যান মুসকান।
সেখান থেকে ফিরে আসার পর নিজের মা-বাবার কাছে স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করে নেয় মুসকান। এরপরই পুলিশের কাছে খুনের কথা জানিয়ে দেন মুসকানের মা-বাবা। তারপর পুলিশ মুসকান এবং সাহিল দুজনকেই গ্রেফতার করে। পুলিশ ড্রামটি থেকে দেহের টুকরোগুলি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাসঙ্গিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গোটা ঘটনার বিস্তারিত তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ। অন্যদিকে, এই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের জন্য মুসকানের ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন তার মা-বাবা।
