সরকারের সব প্রকল্পের সুফল সুনিশ্চিত করার আহবান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৬ মে : কেন্দ্রীয় গ্রাহক পরিক্রমা খাদ্য ও গণ বণ্টন প্রতিমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া  দারিদ্র সীমারেখার উপরে  হাইলাকান্দিবাসীকে নিয়ে আসতে সরকারের সব প্রকল্পের সুফল সুনিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সোমবার উচ্চাকাঙ্কী জেলা হাইলাকান্দির উন্নয়নে প্রশাসনের নেওয়া পদক্ষেপ গুলি খতিয়ে দেখতে সোমবার হাইলাকান্দিতে এক পর্যালোচনা সভায় আধিকারিকদের উদ্দেশ্যে এই আহ্বান জানান। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন হাইলাকান্দিতে বাঁশ, সুপারি, ধান, চা-বাগান  ইত্যাদি কৃষি ও বনজ সম্পদ যেভাবে রয়েছে তা পৃথিবীর কোন স্থানেই নেই। এই সম্পদ গুলিকে কাজে লাগিয়ে এখানকার দরিদ্র জনগণের আর্থিক মান উন্নয়ন করতে সব বিভাগীয় আধিকারিকদের  প্রতি তিনি আবেদন জানান। বৈঠকে  স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে জানানো হয় বিভাগীয় বিভিন্ন পদক্ষেপের ফলে জেলায় প্রসূতি মা ও শিশু মৃত্যুর  আর কমানো সম্ভব হয়েছে।, জেলার চা-বাগানগুলিতে চারটি মোবাইল মেডিকেল ভ্যান ) স্বাস্থ্য বিভাগের পরিষেবায় যোগ দেওয়ার ফলে চা-বাগান এলাকায়ও স্বাস্থ্য পরিষেবার মান উন্নত হয়েছে।

হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসব হার বাড়ানো সম্ভব হয়েছে।জেলার সব হাসপাতালের বহির্বিভাগে (ওপিডি)  এক বছরে প্রায় দশ লাখ রোগীর চিকিৎসা করা সম্ভব হয়েছে।
শিক্ষা বিভাগে কয়েকটি স্কুলের আপগ্রেডেশন করার ফলে জেলায় ড্রপ আউট কমানো সম্ভব হয়েছে এবং ড্রপ আউট মনিটর করতে মেকানিজম তৈরি করা সম্ভব হয়েছে।জেলার সব স্কুলে টিচিং লার্নিং মেটেরিয়াল দেওয়া হয়েছে এবং গুণোৎসব নামক শিক্ষার মান যাচাই প্রক্রিয়া প্রতিবছর অব্যাহত রয়েছে। জেলার সব বিদ্যালয় মিড ডে মিল অর্থাৎ প্রধানমন্ত্রী পোষণ অভিযানে  পড়ুয়াদেরকে দুপুরের খাবার দেওয়া অব্যাহত রয়েছে বলে সভায় মন্ত্রীকে জানানো হয়।

কৃষি বিভাগে প্রধানমন্ত্রী কিষান যোজনায় জেলায় ৮৬ হাজার কৃষকের মধ্যে ৭২  হাজার ৬০৭ জন কৃষক উপকৃত হয়েছেন। বাকি কৃষকদের কে তাদের জমির দলিল, আধার কার্ড,ব্যাংক একাউন্ট ইত্যাদির কারণে প্রধানমন্ত্রী  কিষান যোজনায় সামিল করা সম্ভব হয়নি।তবে পরবর্তীতেও  বাকিদেরকে সামিল করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। ফসল বীমা যোজনার অধীনে জেলার ৮৫ শতাংশ কৃষককে আনা সম্ভব হয়েছে। জেলার  কৃষি জমির মাটি পরীক্ষা করে ২৮ হাজার ৪১৩টি সোয়েল হেলথ কার্ড ইস্যু করা সম্ভব হয়েছে।

সরকারের সব প্রকল্পের সুফল সুনিশ্চিত করার আহবান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

গ্রামীণ জীবিকা মিশন থেকে জানানো হয় জেলায় ৬ হাজার ৬৩টি এসএইচজি গঠনের  মাধ্যমে ৬২ হাজার ৮৬০ পরিবারকে অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হয়েছে। জেলার ৩২টি এসএইচজি-র  উৎপাদিত সামগ্রী অনলাইন মার্কেটে উপলব্ধ রয়েছে।। জেলায় পরীক্ষা মূলকভাবে ১০৫ বিঘা জমিতে মিলেট চাষ শুরু হয়েছে। এছাড়া পনির উৎপাদন ও শুরু হয়েছে যার প্রতি কেজি বাজার মূল্য ২০০ টাকা। বিদ্যালয়ের মিড ডে মিলে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত এই পনির অন্তর্ভুক্ত করা যায় কিনা তা বিবেচনা করা হচ্ছে বলে গ্রামীণ জীবিকা মিশন থেকে জানানো হয়। জেলার  আর্থিক ক্ষেত্রে ব্যাংক পরিষেবা উন্নয়ন সম্পর্কে লিড ব্যাঙ্ক থেকে জানানো হয় যে জেলার ৫৯৮টি গ্রামের মধ্যে ৩০৫টি গ্রামকে এ পর্যন্ত ব্যাংক পরিষেবার আওতায় সরাসরি আনা সম্ভব হয়েছে। বাকিগুলি প্রত্যন্ত এলাকায় মোবাইল নেটওয়ার্ক না থাকায় এখনো আনা সম্ভব হয়নি তবে এই গুলিকেও সরাসরি ব্যাংকের পরিষেবার আওতায় আনতে প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

সরকারের সব প্রকল্পের সুফল সুনিশ্চিত করার আহবান কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

সোমবারের পর্যালোচনা বৈঠকে জেলা কমিশনার নিসর্গ হিভারে আধিকারিকরা অংশ নেন। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নিমুবেন জয়ন্তীভাই বামভানিয়া  হাইলাকান্দি  উচ্চাকাঙ্ক্ষী জেলার তকমা মুক্ত হতে  জেলায়  বাস্তাবায়ন করা প্রকল্প গুলি। আগামীকাল, মঙ্গলবার ও বুধবার সরেজমিনে পরিদর্শন করবেন।এদিকে সোমবার হাইলাকান্দি জেলায় পৌঁছেই তিনি লালাবাজারে থাকা এসিআই এর অধীন ধান সংগ্রহশালাটি পরিদর্শন করেন।

Spread the News
error: Content is protected !!