শিলচরে অসম সাহিত্য সভার তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ অধিবেশন শুরু

রূপক চক্রবর্তী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ অক্টোবর : ঐক্য, শান্তি ও সমন্বয়ের বার্তা নিয়ে শিলচরের বঙ্গভবনে শুরু হল অসম সাহিত্য সভার ২০২৫-২৭ কার্যবর্ষের তৃতীয় পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী অধিবেশন। দু’দিনব্যাপী এই বর্ণাঢ্য আয়োজনের সূচনা হয়। শনিবার কাছাড় জেলা সাহিত্য সভার সভাপতি ড. যোগেশ্বর বর্মনের হাতে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে শুরু অধিবেশন।

অধিবেশনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন অসম সরকারের মন্ত্রী ও সভার কার্যনির্বাহী সভাপতি কৌশিক রায়। উদ্বোধনের সূচনা হয় জুবিন গর্গের জনপ্রিয় গান ‘মায়াবিনী’ দিয়ে। এরপর ড. ভূপেন হাজরিকা, কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্য ও জুবিন গর্গের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান অতিথিরা।

সভাপতি ড. বসন্তকুমার গোস্বামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কার্যনির্বাহী বৈঠকে প্রকাশিত হয় ‘বরাক বৈভব’ স্মারকগ্রন্থ, অসম সাহিত্য সভার পত্রিকা ও বার্তা। প্রকাশ করেন সিনিয়র পুলিশ সুপার নোমাল মাহাতো, শিলচর বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী, সহ-সভাপতি পদুম রাজখোয়া, রেজিস্ট্রার ড. মাধুর্যমণ্ডিত বরুয়া এবং গবেষক ড. অনিল শইকিয়া।

মন্ত্রী কৌশিক রায় তাঁর ভাষণে বলেন, “বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার ঐক্য আরও দৃঢ় করতে শিলচর অধিবেশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।” তিনি জানান, কাছাড়ে ভূপেন হাজরিকার একটি মূর্তি নির্মাণের প্রস্তাব রাখা হয়েছে এবং রাজ্যের প্রতিটি জেলায় কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মজয়ন্তী পালনের উদ্যোগ নেওয়া হবে। মন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন, ‘বরাক বৈভব’ দুই উপত্যকার মধ্যে মানসিক দূরত্ব কমাতে এক সেতুবন্ধনের কাজ করবে।

অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বলেন, “অসম সাহিত্য সভা আমাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অভিন্ন প্রতীক। বরাক ও ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়াতে এই সভা সেতুবন্ধনের কাজ করছে। শিলচর অধিবেশন সেই বন্ধনকে আরও দৃঢ় করবে।” তিনি বলেন, “ভাষা ও সাহিত্যই পারে বিভেদের দেয়াল ভেঙে ঐক্যের ভিত্তি গড়তে।”

Spread the News
error: Content is protected !!