মিডিয়া ক্রিকেটের সেমিফাইনাল শনিবার

বরাক তরঙ্গ, ১১ এপ্রিল : প্রাথমিক পর্বের রোমঞ্চকর লড়াইয়ের পর বরাক উপত্যকা ক্রীড়া সাংবাদিক সংস্থা পরিচালিত মিডিয়া ক্রিকেট ফেস্টের সেমিফাইনালে উঠল অটল প্রেস ফাইটারস, হাইলাকান্দি খবর হিরোজ, নববার্তা মিডিয়া ওয়ারিয়র্স এবং বরাক বুলেটিন প্রেস স্ট্রাইকর্স। শনিবার সকালে প্রথম সেমিতে বরাক বুলেটিন প্রেস স্ট্রাইকর্স মুখোমুখি হবে হাইলাকান্দি খবর হিরোজের। আর বিকেলে নববার্তা মিডিয়া ওয়ারিয়র্স-র চ্যালেঞ্জ-র মোকাবিলা করবে অটল প্রেস ফাইটারস।

শুক্রবার দিনের প্রথম ম্যাচে বরাক বুলেটিনের বিপক্ষে মরণ বাচন লড়াইয়ে নেমেছিল প্যারামাউন্ট মিডিয়া চালেঞ্জার। শুধু জিতলেই হত না, পেতে হত বড় জয়। এই পরিস্থিতিতে খেলতে নেমে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রথম উইকেটেই ৬৫ রানের ঝড়ো পার্টনারশিপ গড়েন প্যারামাউন্ট মিডিয়া চালেঞ্জারের দুই ওপেনার সুব্রত দাস (৩৮) এবং নিরুপম দাস (১৬)। এরপরই আহাদুল আহমেদের আগুনে বোলিংয়ে আচমকা খেই হারিয়ে ফেলে তাদের ইনিংস। বিনা উইকেটে ৬৫ থেকে পাঁচ উইকেটে ৭২ দাঁড়ায় তাদের স্কোর। সেখান থেকে দলকে টেনে তুলেন শিবশিস ভট্টাচাৰ্য, (৪৩) এবং প্যারামাউন্ট অধিনায়ক সঞ্জীব সিং (২৮)। নির্ধারিত ১৫ ওভারে ৮ উইকেটে ১৫২ রান করে প্যারামাউন্ট মিডিয়া চালেঞ্জার। আহাদুল মাত্র ১১ রান খরচ করে ৫ উইকেট তুলে নেন।
বড় টার্গেট থাকলেও প্যারামাউন্ট মিডিয়া চালেঞ্জারের সামনে পথটা ছিল কঠিন। ১০৫ রানের ভিতরে বরাক বুলেটিনকে আউট না করতে পারলে ছিটকে যাবে তারা। এই অবস্থায় খেলতে নেমে একসময় পরিস্থিতি ভালো ছিল তাদের। তবে শেষরক্ষা হয়নি। জিতলেও নেট রান রেটে ছিটকে যায় তারা।

মিডিয়া ক্রিকেটের সেমিফাইনাল শনিবার

নীলোৎপল দেব (৪১), আহাদুল (১৬) এবং পান্না সিনহার (১৫) ভালো ব্যাটিংয়ে ৮ উইকেটে ১১৮ রান করে তারা। হারলেও গ্ৰুপ রানার্স হয়ে শেষ চারে চলে যায় বরাক বুলেটিন। এই গ্ৰুপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নববার্তা মিডিয়া ওয়ারিয়র্স। আর ৩৪ রানে জিতেও ছিটকে যায় প্যারামাউন্ট। ম্যাচের সেরা হন শিবাশিস। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন মৃদুল মজুমদার, রোহন দেব, রাহুল চক্রবর্তী, তাজ উদ্দিন।

মিডিয়া ক্রিকেটের সেমিফাইনাল শনিবার

দিনের অপর ম্যাচটিও ছিল ভাইটাল। হাইলাকান্দির বিপক্ষে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় শিলচোর নিউজ রকার্স। তাদের শ্যাম সিনহা (৪২) কেউই দু অংকের রান পাননি। ১৫ ওভারে ৯ উইকেটে ৬৬ রান করে তারা। জয়দীপ চন্দ তিন এবং সুমিত বৈদ্য দুই উইকেট পান। জবাবে খেলতে নেমে ১১.৪ ওভারে চার উইকেট হারিয়েই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে যায় হাইলাকান্দি। তাদের রাহুল নাথ সর্বোচ্চ ২২ রান করেন। বিশ্বজিৎ দত্ত তুলে নেন দুই উইকেট। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দেবাশিস সোম, জাকির লস্কর, শুভেন্দু দাশ, চন্দন শর্মা, হিমাংশু দে প্রমুখ।

Spread the News
error: Content is protected !!