দ্বিতীয় রেলপথ : সম্মিলিত ভাবে আওয়াজ উঠুক
বরাক তরঙ্গ, ৩০ জুন, সোমবার,
চন্দ্রনাথপুর-লঙ্কা দ্বিতীয় রেলপথ নির্মাণের দাবি জোরদার হোক। জনপ্রতিনিধিদের আওয়াজের পাশাপাশি একটি গণআন্দোলন গড়ে তোলা হোক। দ্বিতীয় রেলপথ বরাক সহ মণিপুর, ত্রিপুরা ও মিজোরামের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। এই প্রয়োজনটাকে গুরুত্ব সহকারে নিতে হবে। সরকারের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সম্প্রতি দেখা যায় শিলচর-বদরপুর লাইন কোন কারণে যাতায়াত বন্ধ হয়ে গেলে দ্বিতীয় রেলপথের আওয়াজটা একটু জোর পায়। আবার পাহাড় লাইন স্বাভাবিক হয়ে গেলে সেই আওয়াজ আর শোনা যায় না। পাহাড় লাইনের বার্ষিক সমস্যা থেকে রেহাই পেতে হলে এই আওয়াজটাকে দিল্লির মসনদে পৌঁছে দিতে হবে।
আগেও দেখা গেছে এই বিষয়টি নিয়ে সাংসদরা রেলমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে নজরে এনেছেন। রেলবিভাগও জরিপ করেছে। কিন্তু দ্রুত কাজ শুরু করে দ্বিতীয় রেলপথের বাস্তব রূপ দিতে একটি চাপ সৃষ্টি করতে হবে সম্মিলিত ভাবে। বর্তমানে সংসদের দু’টি কক্ষে বরাক উপত্যকা থেকে চারজন প্রতিনিধি রয়েছেন। এরমধ্যে তিনজনই শাসকদলের। তাঁরা সেই দাবি বারবার উপস্থাপন করলে রেলমন্ত্রক বিষয়টি গুরুত্ব আরোপ করবে।
একইভাবে জনতার আওয়াজও পৌঁছতে হবে। রাজনৈতিক মতাদর্শের উর্ধ্বে উঠে সর্বশ্রেণির জনগণকে নিয়ে একটি মঞ্চ তৈরি করে প্রয়োজনটা সরকারকে বোঝাতে হবে। এতে জনপ্রতিনিধিদের আওয়াজে শক্তি জুটবে। গত বছর দেখা গেছে শিলচর-লামডিং ব্রডগেজ রূপায়ণ সংগ্রাম কমিটি দাবিটি নিয়ে সরব হয়েছে। সভা, সমিতি এবং চলতি বছরে একটি সমাবেশেরও আয়োজন করে। সাংসদদেরও স্মারকপত্র প্রদান করে। কিন্তু তাঁদের কর্মসূচি শক্তিশালী রূপ না নেওয়ায় আমজনতার কাছে পৌঁছতে পারেনি। তাই সম্মিলিত ভাবে দ্বিতীয় রেলপথের আওয়াজ তোলা আবশ্যক।
