ফি দিতে না পারায় পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ, আত্মঘাতী ছাত্রী

৩১ মার্চ : মাত্র ৮০০ টাকা দিতে না পারায় বার্ষিক পরীক্ষায় বসতে দেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। শুধু তাই নয় টাকা দিতে না পারায় সহপাঠিদের সামনে চরম অপমান করে বলে অভিযোগ। সেই অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হল এক ছাত্রী। শনিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) প্রতাপগড়ের একটি স্কুলে। ছাত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগে স্কুলের প্রধানশিক্ষক সহ আরও বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার পরিবার।
জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশের প্রতাপগড়ের অতি নিম্নবিত্ত পরিবারের মেয়েটি শনিবার গিয়েছিল বার্ষিক পরীক্ষা দিতে। পরীক্ষা দেওয়ার আগে সে ও আরও বেশ কয়েকজন সহপাঠী প্রধান শিক্ষকের কাছে গিয়েছিল অ্যাডমিট কার্ড আনতে। অন্যদের পরীক্ষায় বসার অনুমতি দেওয়া হলেও সেই ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দেন স্কুলের ম্যানেজার সন্তোষ কুমার যাদব, অফিসার দীপক সরোজ এবং অধ্যক্ষ রাজকুমার যাদব-সহ বাকিরা। কারণ সে পরীক্ষার ফি বাবদ মাত্র ৮০০ টাকা জমা করেতে পারেনি।
স্কুলে অপমানিত হয়ে বাড়ি ফিরে ছাত্রী সবটা জানায় তাঁর মাকে। এরপর তাঁর মা চলে যায় মাঠে কাজ করতে। বিকেলে মাঠে কাজ সেরে তিনি বাড়ি ফিরে দেখেন মেয়ে আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপখের বিরুদ্ধে প্রতাপগড় থানায় আত্মহত্যায় প্ররোচণা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন মৃতার মা। তিনি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দুর্গেশ সিং জানিয়েছেন, ছাত্রীর স্কুলে পরীক্ষার ফি ছিল ২৩০০ টাকা। এরমধ্যে ১৫০০ টাকা আগেই জমা করেছিল ছাত্রী। বকেয়া ছিল মাত্র ৮০০ টাকা। এই টাকা না দেওয়ায় ছাত্রীকে পরীক্ষায় বসতে না দিয়ে অপমান করে তাড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন মৃত ছাত্রীর মা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১০৭ ধারায় (শিশু বা মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তির আত্মহত্যায় প্ররোচনার সঙ্গে সম্পর্কিত) মামলা দায়ের হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে, দোষীদের রেয়াত করা হবে না। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আরিফ বলেন, “শিক্ষার নামে যদি ছাত্রীদের অপমান করা হয়, তাহলে প্রশাসনকে অবশ্যই পদক্ষেপ করতে হবে।”
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।