দঃ সৈদপুরে জিও ট্যাগে কোন উৎকোচ নেওয়া হয়নি, জানালো পঞ্চায়েত বডি
বরাক তরঙ্গ, ২২ অক্টোবর : সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের অধীন দক্ষিণ সৈদপুর জিপির ৮ নম্বর গ্রুপের জিও ট্যাগ করার সময় কোন উৎকোচ নেওয়া হয়নি। এ কথা জানালো পঞ্চায়েত বডি। বুধবার জিপি কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে সভাপতির প্রতিনিধি তাহের আহমদ এ ঘটনার তদন্ত করে জানান, জিও ট্যাগ করতে গিয়ে উৎকোচ নেওয়ার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল তা ভিত্তিহীন বলে প্রমাণ পেয়েছেন। তিনি বলেন, সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর কিছু সংবাদ মাধ্যমেও এ খবর প্রকাশ হয়। এরপর ব্লক আধিকারিক উপস্থিত হয়ে তদন্তের নির্দেশ দেন। জানান, গ্রুপ সদস্য রাকিব আহমদ যে টাকা দিয়েছিলেন সে টাকা রাজ লস্করের। সেটা কোন উৎকোচ নয়। তাহের আহমদ বলেন, নজরুল ইসলাম লস্করকে জিজ্ঞাসাবাদ চালালে তিনি জানান সেই টাকার সঙ্গে তার কোন মিল নেই। ঐদিন রাতে নজরুল ইসলামের বাড়িতে জিও ট্যাগ করতে যান গ্রুপ সদস্য রাকিব আহমদ, ট্যাক্স কালেক্টর খাইরুল ইসলাম লস্কর ও রাজ লস্কর। অন্ধকারের জন্য অসুবিধা হচ্ছিল তাঁদের। টর্চ লাইট কিনতে রাজ লস্কর টাকা দিয়েছিলেন কিন্তু দোকানে টর্চ না পেয়ে সেই টাকা ফেরত দেন নজরুল। তখনই কে বা কারা মুহূর্তকে ভিডিও রেকর্ডিং করে। পরবর্তীতে সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়া হয়। এমন কাজের তিনি নিন্দা জানান। জিপি সচিব রথীন্দ্র পাল এ বিষয়ে একই বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, পুরো ঘটনাটি তদন্ত করে সত্যতা মেলেনি।
এ দিকে, নজরুল ইসলাম সাংবাদিক বৈঠকে হাজির হয়ে বয়ান পেশ করেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ছিলেন আবজাল হোসেন লস্কর, রাকিব আহমদ, এনামুল হক লস্কর, খোরশেদ আহমদ লস্কর, নজরুল ইসলাম বড়ভূইয়া, সেলিম আহমেদ, সঞ্জুল মিয়া বড়ভূইয়া, আঙ্গুর হোসেন বড়ভূইয়া সহ আরও অনেকে।

