নগাঁও গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু, পুকুর থেকে উদ্ধার
বরাক তরঙ্গ, ২৪ আগস্ট : নগাঁও ধিংয়ের গণধর্ষণকাণ্ডের মূল অভিযুক্তের রহস্যমৃত্যু। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশ হেফাজত থেকে পালিয়ে সে ঝাঁপ দিয়েছিল পুকুরে। শনিবার সকালে সেই পুকুরে ডুবুরী নামিয়ে উদ্ধার করা হয়ে অভিযুক্তের দেহ।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাইকেলে চেপে টিউশন থেকে বাড়ি ফিরছিল ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরী। সেই সময়েই তিন যুবক একটি নির্জন এলাকায় মেয়েটির পথ আটকায়। পাশেই একটি পুকুর পাড়ে টেনে হিঁচড়ে মেয়েটিকে নিয়ে গিয়ে তিন যুবক গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। মেয়েটির বাড়ি ফিরতে দেরি হওয়ায় খোঁজ খবর শুরু করে পরিবারের লোকেরা। পরে তাঁরা জানতে পারেন একটি পুকুরের ধারে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে রয়েছে সে। সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয় স্থানীয় হাসপাতালে। ওই ঘটনার তদন্তে নেমে শুক্রবারই এক জনকে গ্রেফতার করে নগাঁও জেলা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই যুবকই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। জেরার পর শুক্রবার গভীর রাতে ধৃতকে ঘটনার পুনর্নিমাণের জন্য অকুস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়। সেই সময়েই অভিযুক্ত যুবক পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে পুকুরে ঝাঁপ দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। পরে সেই পুকুরে ডুবুরী নামিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশির পর উদ্ধার হয় অভিযুক্ত যুবকের দেহ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে অভিযুক্ত পালানোর চেষ্টা করলে, তাঁকে বাধা দিতে গিয়ে এক পুলিশকর্মী আহত হয়েছেন। তবে কী ভাবে ওই অভিযুক্ত পুলিশের হেফাজত থেকে পালালেন, সে বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় বাকি দুই অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে তদন্তকারী দল।
নগাঁও জেলার পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা জানিয়েছেন, “তদন্তের জন্য গত রাতে অভিযুক্তকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেই সময়েই ওই অভিযুক্ত যুবক পুলিশের হাত থেকে পালানোর চেষ্টা করেন এবং কাছেই একটি পুকুরে ঝাঁপ দেন। পুলিশকর্মীরা তাঁকে খুঁজতে সঙ্গে সঙ্গে তল্লাশি অভিযান শুরু করেছিলেন। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সহযোগিতায় শনিবার সকালে ডুবুরী নামিয়ে ওই পুকুর থেকে অভিযুক্তের দেহ উদ্ধার হয়।”