সলগইয়ে গো-পালকের পরিবারের সঙ্গে দেখা খোঁজ নিলেন সাংসদ
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জুলাই : দিল্লি থেকে নিজ কেন্দ্র করিমগঞ্জ আসার পর শনিবার পাথারকান্দির লোয়াইরপোয়া ব্লকের ডেঙ্গারবন্দ জিপির সলগই বাজারের বাসিন্দা সম্প্রতি নিহত হওয়া গো-পালকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জ্ঞাপন করলেন করিমগঞ্জের সাংসদ কৃপানাথ মালা।পাশাপাশি তিনি এদিন সলগৈই বাজারের মন্দিরের পরিকাটামো সহ বৃহত্তর এলাকার বৃহত সলগৈই বাজারের খোঁজও নেন সাংসদ মালা। পাশাপাশি মৃতের পরিবার যাতে সরকারি সাহায্য পায় সে ব্যাপারে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানান। এতে সঙ্গে ছিলেন শচীন সাহু, সুদীপ গোয়ালা, বিকি যাদব জয় পাল, অম্বিকা বৈদ্য, কান্তাপ্রসাদ যাদব, শ্রীরাম তেলী, চাঁন্দা লোহার, বদ্রীপ্রসাদ গোয়ালা গোপীচাঁন্দ ভর মঙ্গলপ্রসাদ কৈরী প্রমুখ।পরে তিনি সলগইবাজারস্থিত রামজানকী মন্দিরটি পরিদর্শন করে মন্দিরের লাগোয়া নব নির্মিয়মান মন্দিরটির কাজে সরকারি সাহায্য বরাদ্ধ করার প্রতিশ্রুতি দেন। এর ফাঁকে খতিয়ে দেখেন সরকারি সলগই বাজারের দুরাবস্তা।বাজারটির সার্বিক উন্নয়নে তিনি ব্যবস্থা নেবার কথাও দেন।পরে স্থানীয় সেডঘরে এক সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।এতে স্থানীয়দের পক্ষে অনেকে এলাকার নানা সমস্যা Ankur সাংসদের কৃপাদৃষ্টি কামনা করেন।
প্রসঙ্গত, গত জুন মাসের শেষে হাতিখিরা বাগানের আট নং ডিভিশনের পাশে গো-চরাতে যান সলগই বাজার এগারো নং লাইনের বাসিন্ধা পয়ষট্টি বছর বয়সী বৃদ্ধ সুশীলচন্দ্র ঘোষ গো চরাতে গিয়ে খুন হন। পরদিন সকালে নিখোজ ব্যক্তির ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয় তার বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দুরবর্তি হাতিখিরা বাগানের আট নং ডিভিশনের তেরো নং সেকশনের একটি জলাশয় থেকে।শরিরে ছিল একাধিক ধারালো দায়ের কোপ ও হাত দুটি ছিল ভাঙা।শেষ এ কান্ডে পুলিশ সহ সার্কেল প্রশাসন তদন্তে নেমে মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারবর্গের হাতে সমঝে দেয়।পরে এ কাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে স্থানীয় আট নং লাইনের গোলাব গোয়ালা নামের এক দাগি ব্যক্তিকে আটক করে জেল হাজতে প্রেরণ করে বাজারিছড়া পুলিশ।
এ দিকে, শনিবারে এই ঝাটিকা সফরে সাংসদ কৃপানাথ মালা পাথারকান্দির বিভিন্ন চা বাগান এলাকায় গিয়ে বাগান শ্রমিকদের সঙ্গে মিলিত হয়ে তাদের কথাও শুনেন পাশাপাশি তাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ও করেন। এসময় সাংসদ মালার সঙ্গে ছিলেন যুব নেতা শচীন সাহু সুদীপ গোয়ালা ভিকি যাদব প্রমুখ।