শাহি ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ ঘোষণার আর্জি খারিজ হাইকোর্টের
৪ জুলাই : মথুরায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ইদগাহ মসজিদকে নিয়ে দুই পক্ষের আইনি লড়াই গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিল। শুক্রবার হিন্দু পক্ষের দাবি মতো শাহি ইদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ ঘোষণার আর্জি খারিজ করে দিয়েছে এলাহাবাদ হাইকোর্ট। হিন্দু পক্ষের হয়ে আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মহেন্দ্র প্রতাপ সিং পিটিশন (A-44) দায়ের করে মথুরা শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি লাগোয়া শাহি ইদগাহ মসজিদকে আদালতের নথিতে ও পরবর্তী যাবতীয় কার্যক্রমের ক্ষেত্রে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে ঘোষণার আর্জি জানিয়েছিলেন। এই আবেদনটি মূলত শাহি ইদগাহ মসজিদের বিরুদ্ধে শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দির কমপ্লেক্সের জমি দখল সংক্রান্ত একটি বৃহত্তর মামলার অংশ। কিন্তু বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের একক বেঞ্চ আবেদনটি খারিজ করে দিয়েছে।
আবেদনে আর্জি জানানো হয়, যাতে চলতে থাকা মামলার যাবতীয় নথিতে ‘শাহি ইদগাহ মসজিদ’ শব্দটিকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ শব্দটি দিয়ে প্রতিস্থাপিত করতে স্টেনোগ্রাফারকে নির্দেশ দেওয়া হয়। যদিও এর বিরোধীতা করে মুসলিম পক্ষ। তাদের তরফে সরকারি নথিতে এই ধরনের কোনও পরিবর্তনের বিরোধীতা করে লিখিত আপত্তি জানানো হয়। উভয় পক্ষের যুক্তি শোনার পর হাইকোর্ট আবেদনটি খারিজ করে দেয় এবং মুসলিম পক্ষের উত্থাপিত আপত্তি বহাল রাখে।
মথুরার প্রাচীন কাটরা স্তূপ এলাকায় শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি কমপ্লেক্সের পাশেই রয়েছে শাহি ইদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque)। হিন্দুপক্ষের দীর্ঘদিনের দাবি, শাহি ইদগাহ মসজিদের জমিতেই ছিল প্রাচীন কেশবদাস মন্দির। এই মন্দিরটি ধ্বংস করেছিলেন মোগল সম্রাট অওরঙ্গজেব। এরপর ১৬৬৯-১৬৭০ সালে মন্দির ভেঙে তৈরি হয় শাহি ইদগাহ মসজিদটি। মসজিদের জমির মালিকানা নিয়ে বিবাদ গড়ায় আদালত পর্যন্ত। গত ডিসেম্বরে হিন্দু পক্ষের আর্জিতে সাড়া দিয়ে শাহি ইদগাহ মসজিদ চত্বরে সমীক্ষা এবং জমি মাপজোকের নির্দেশ দিয়েছিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট।
মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি এবং শাহি ঈদগাহ মসজিদ ঘিরে ইতিমধ্যেই হিন্দুপক্ষের তরফে ১৮টি মামলা দায়ের হয়েছে। এই মামলাটিও সেই মামলাগুলিরই একটি। অনেক হিন্দুর বিশ্বাস, শাহি ইদগাহ মসজিদটি ভগবান কৃষ্ণের জন্মস্থানের ঠিক পাশে অবস্থিত। আগামী ২ অগাস্ট মামলার পরবর্তী শুনানি।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।
