শতাধিক সুবিধাপ্রাপকের হাতে তুলে দেওয়া হল সরকারি আর্থিক অনুদান

মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি। 
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জুলাই : অসম সরকারের জনকল্যাণমূলক কর্মসূচির মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প ‘সুহৃদ প্রকল্প’ এবারও নতুন আশা ও সম্ভাবনার বার্তা নিয়ে পৌঁছাল বৃহত্তর পাথারকান্দি সমষ্টিতে। রাজ্যের মন্ত্রী ও স্থানীয় বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের সক্রিয় উদ্যোগ ও নিরলস প্রচেষ্টায় শুরু হল সুহৃদ প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের চেক বিতরণ প্রক্রিয়া।পাথারকান্দি বিজেপি মণ্ডল কার্যালয়ে আয়োজিত হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠানের, যেখানে উপস্থিত ছিলেন মণ্ডল সভাপতি, যুব মোর্চার সদস্য, নবনির্বাচিত পঞ্চায়েত প্রতিনিধি এবং বহু বিশিষ্ট দলীয় কার্যকর্তা।এই অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক প্রকৃত হিতাধিকারীর হাতে এককালীন আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়। উপকৃতদের মধ্যে অধিকাংশই গরিব ও মেধাবী ছাত্রছাত্রী এবং আর্থিকভাবে অসহায় চিকিৎসা প্রয়োজনীয় রোগী।চেক হাতে পেয়ে চোখে জল এনে দেওয়া প্রতিক্রিয়া মিলেছে বহু ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকের কাছ থেকে। এক অভিভাবক আবেগভরা কণ্ঠে জানান, আমার ছেলে কলেজে পড়ে, সংসারের অভাবের কারণে ঠিকমতো পড়তে পারছিল না। এই সাহায্য আমাদের বাঁচাল। আমরা চিরকৃতজ্ঞ কৃষ্ণেন্দু বাবুর প্রতি। সুহৃদ প্রকল্পের মূল লক্ষ্য হলো সমাজের পিছিয়ে পড়া, গরিব অথচ মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের পাশে দাঁড়ানো। বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পাল ২০১৬ সালে বিধানসভায় প্রথমবার নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই এই প্রকল্পের মাধ্যমে প্রতিবছর প্রায় এক হাজার পড়ুয়ার হাতে শিক্ষা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন।শুধু তাই নয়, যাঁরা বিভিন্ন রোগে ভুগে আর্থিক অক্ষমতার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছেন না, তাঁরাও সুহৃদ প্রকল্পের আওতায় পাচ্ছেন সরকারি আর্থিক সহায়তা।এটি একদিকে যেমন শিক্ষাক্ষেত্রে উৎসাহ জোগাচ্ছে, তেমনি সমাজের আর্থিক দুর্বল মানুষদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায়ও বড় ভরসা হয়ে উঠছে।অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃত্ব, যারা তাঁদের বক্তব্যে বলেন,শিক্ষাই ভবিষ্যতের চালিকা শক্তি। এই প্রকল্প শুধু টাকা নয়, এক একটা স্বপ্নের বীজ বপন করছে, যার ফল ভবিষ্যতে পাথারকান্দি তথা গোটা রাজ্য ঘরে তুলবে।তারা আরও জানান, এই ধরনের সহায়তা রাজনীতির গণ্ডি ছাড়িয়ে মানবিক দায়বদ্ধতা থেকে করা হচ্ছে এবং এই প্রয়াস রাজ্যের উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মনেও স্থায়ী ছাপ ফেলছে। স্থানীয় বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল অনুষ্ঠানে উপস্থিতি না থাকলেও তিনি এক বিবৃতিতে জানান, আমি সবসময় মানুষের পাশে থাকতে চাই। শিক্ষা ও স্বাস্থ্য এই দুই ক্ষেত্রেই আমার অগ্রাধিকার। সুহৃদ প্রকল্পের মাধ্যমে আমি চেষ্টা করছি সামর্থ্যের মধ্যে যতটা সম্ভব মানুষের পাশে দাঁড়াতে।তিনি আরও বলেন, “আমার স্বপ্ন পাথারকান্দির প্রতিটি ঘরে শিক্ষার আলো জ্বলুক, আর কেউ যেন অভাবে চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত না হয়।সুহৃদ প্রকল্প কেবলমাত্র একটি সরকারি স্কিম নয়, এটি একটি সামাজিক আন্দোলন  যেখানে দরিদ্র, অনগ্রসর অথচ প্রতিভাবান মানুষের পাশে দাঁড়ানো হচ্ছে। বিধায়ক কৃষ্ণেন্দু পালের মতো জনপ্রতিনিধির সক্রিয় ভূমিকা এমন উদ্যোগকে শুধু বাস্তবায়নই করছে না, বরং মানুষের জীবনে আশার আলো ছড়িয়ে দিচ্ছে।

Author

Spread the News