৫ বছরে মোদির বিদেশ সফরে সরকারের খরচ ৩৬২ কোটি টাকা

২৬ জুলাই : গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিদেশ সফরে সরকারের খরচ হয়েছে ৩৬২ কোটি টাকা। ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত ৩৩টি বিদেশ সফর করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় এই তথ্য জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী কীর্তিবর্ধন সিং। যদিও এই খরচের পরিসংখ্যানে চলতি ব্রিটেন ও মালদ্বীপ সফরের খরচ ধরা হয়নি।

বিদেশ প্রতিমন্ত্রী জানান, চলতি বছরে আরও তিনটি সফরের চূড়ান্ত হিসাব এখনও পাওয়া যায়নি – কানাডায় জি-৭ সম্মেলন, ব্রাজিলে ব্রিকস সম্মেলন এবং মরিশাস সফর। এছাড়াও রয়েছে ফ্রান্স, আমেরিকা, থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও সৌদি আরব সফর। এই বছর ফ্রান্স ও আমেরিকার সফরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে – ২৫.৫৯ কোটি টাকা ও ১৬.৫৪ কোটি টাকা যথাক্রমে। তথ্য বলছে, মোদি আমেরিকা গিয়েছেন ২০২১, ২০২৩, ২০২৪ এবং ২০২৫ সালে, যার মিলিত খরচ পড়েছে ৭৪.৪১ কোটি টাকা।

২০২৪ সালে তৃতীয় বার প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর পোল্যান্ড, ইউক্রেন, রাশিয়া, ইটালি, ব্রাজিল এবং গিনি গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। ইটালিতে মোদির সফরে খরচ প্রায় সাড়ে ১৪.৩৬ কোটি। রাশিয়া এবং ব্রাজিলে খরচ হয় প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। ১০ কোটি খরচ হয়েছে পোল্যান্ডে। ২০২৩ সালে তিনি ৬টি সফরে ১১টি দেশে যান এবং ব্যয় হয় ৯৩.৬ কোটি টাকা। এর আগের দুই বছরে (২০২১ ও ২০২২) ১০টি সফরে ১৪টি দেশে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। সেই সময়ের মোট খরচ ছিল ৯০ কোটি টাকা।

প্রসঙ্গত, চলতি বছর এপ্রিল মাসে থাইল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা সফরের খরচ ছিল ৯ কোটির সামান্য বেশি। সৌদি আরব সফরের খরচ হয়েছিল ১৫.৫৪ কোটি টাকা, যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে সেই সফর সংক্ষিপ্ত করতে হয়েছিল। ২২ এপ্রিল পহলগাম জঙ্গি হানার কারণে প্রধানমন্ত্রী সফর কাটছাঁট করে জেড্ডা না গিয়ে ফিরে আসেন।

এর আগে মোদির বিদেশ সফরের যে হিসাব সরকারপক্ষ সংসদে দিয়েছিল, তাতে দেখা গিয়েছে, ২০২৩ সালের জুনে মোদীর আমেরিকা সফরেই সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছিল। খরচের অঙ্ক ২২ কোটি ৮৯ লক্ষ ৬৮ হাজার ৫০৯ টাকা। অবশ্য ২০২৫ সালের আমেরিকা সফর এই খরচকে ছাপিয়ে গিয়েছে। ২০২৩-এর বছরের মে মাসে জাপান গিয়েছিলেন মোদী। সেখানে খরচ হয়েছিল প্রায় ১৭ কোটি টাকা। ২০২২ সালের মে মাসে মোদির নেপালযাত্রায় খরচ হয়েছিল ৮০ লক্ষ টাকা।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিটি সফরের ব্যয়ভার বহন করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই সফরগুলির মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্ক মজবুত করা, দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক বৈঠক, আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশগ্রহণের মতো নানা উদ্দেশ্য থাকে বলে সরকারের তরফে জানানো হয়েছে।
খবর : দৈনিক স্টেটসম্যান বাংলা।

Spread the News
error: Content is protected !!