অনশনমঞ্চের সামনে ভিড় সাধারণ মানুষের, বাড়ল মনোবল
১১ অক্টোবর : আরজি কর কাণ্ডে জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনের ঝাঁজ ক্রমশ তীব্র হচ্ছে। ধর্মতলার অনশনমঞ্চে ১০ দফা দাবি পূরণে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ৮ চিকিৎসক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আন্দোলনের অন্যতম মুখ অনিকেত মাহাতো। ডাক্তারদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে মঞ্চে হাজির সিনিয়র ডাক্তাররা। জেনারেল বডি (জিবি) বৈঠকের পর জুনিয়র ডাক্তারদের মিলিত মঞ্চ ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টর্স ফ্রন্ট’-এর তরফে জানানো হয়, শুক্রবার সন্ধ্যায় ধর্মতলার অনশনমঞ্চ সংলগ্ন অঞ্চলে সমাবেশ করবে তারা। তাদের সমাবেশকে আনুষ্ঠানিক ভাবে সমর্থন করেছে বামফ্রন্ট। ফ্রন্টের তরফে সমাবেশে দলীয় কর্মীদের যেতে বলেছে বামফ্রন্ট।
জানা গিয়েছে, এদিন দুপুর থেকেই অনশনমঞ্চের সামনে ভিড় জমাতে শুরু করেছে প্রচুর সাধারণ মানুষ। সমাবেশে যোগ দিতে দূর-দূরান্ত থেকে নাগরিকেরা উপস্থিত হয়েছেন ধর্মতলায়। নবমীর রাতে ইতিমধ্যেই ভিড়ে থিক থিক করছে ধর্মতলা চত্বর। এই জমায়েতের জেরে কার্যত অবরুদ্ধ ধর্মতলার একাংশ। অনশনমঞ্চের সামনের রাস্তা— ডোরিনা ক্রসিং থেকে কেসি দাস পর্যন্ত পথে বন্ধ গাড়ি চলাচল। সেখানে শুধুই সাধারণ মানুষের ভিড়।
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সমাবেশে ভিড় জমিয়েছেন বামকর্মী সমর্থকরা। তবে তাঁদের হাতে ছিল না দলীয় পতাকা। সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই বহু বামকর্মী ট্রেনে বাসে চেপে ধর্মতলায় এসে পৌঁছছেন। অনেকে আসছেন। ধর্মতলার অনশন মঞ্চ থেকে বেশ খানিকটা দূরে হাজির হয়েছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, রামচন্দ্র ডোম, সূর্যকান্ত মিশ্র।
তবে রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের সমাবেশে আসার বিষয়টি নিয়ে সতর্ক আন্দোলনকারীরা। ধর্মতলার অনশনমঞ্চ থেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে চিকিৎসক দেবাশিস হালদার বলেন, ‘‘বেশ কিছু রাজনৈতিক দল জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলনকে এমন ভাবে দেখানোর চেষ্টা করছে, যেন এই ডাক তাদের। এটা খুবই দুঃখজনক। আমরা বার বার বলছি দলীয় স্বার্থ এবং পতাকা দূরে রেখে, যে কোনও মানুষ যোগ দিতে পারেন। এই আন্দোলনকে হাইজ্যাক করা চেষ্টা হচ্ছে। অনুরোধ করব তেমন যেন না করা হয়।’’
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ ডিজিটাল।