গীতা একটি সম্পূর্ণ জীবন-দর্শন, পথ অনুসরণ করা ব্যক্তিই সর্বোত্তম : স্বামী তপনানন্দ

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১১ জুন : অন্যান্য বছরের ন্যায় এবছরও শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের ৩৮ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় দিন তথা মঙ্গলবার আশ্রম প্রাঙ্গণে ব্রহ্মমূহুর্তে মঙ্গলারতি, শ্রীশ্রী রুদ্রাভিষেক, সাধু ভান্ডারা ও দুপুরে উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ, সঙ্গীতানুষ্ঠান, সনাতন ধর্ম সম্মেলন, নিত্যানুষ্ঠান সহ আরো সনাতন ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়।শঙ্কর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পরমপূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, শ্রীমদ্ভাগবত গীতা এটি এমন একটি সনাতন ধর্মীয় গ্রন্থ যা মানুষকে জীবনযাপনের সঠিক পথ দেখায়। ধর্ম, কর্ম ও প্রেমের পাঠ দেয়। শুধু জীবদ্দশায় নয়, গীতার জ্ঞান জীবন-পরবর্তী সময়ের জন্যও উপযোগী বলে বিশ্বাস। জীবনের সমস্ত দ্বিধা ও সমস্যার সমাধান গীতায় পাওয়া যায়। এটা মনে করা হয় যে, গীতার বাণী অনুসরণ করলে জীবন বদলে যায় এবং একজন মানুষ প্রতিটি কাজে সাফল্য পান।গীতা বলে যে মানুষের ভাগ্য তার হাতে। পৃথিবী স্থির নয়, এবং এই অন্ধকার জগতও নয়। “আমরা আমাদের ধর্মকে অনুসরণ করে এবং সঠিক চিন্তাভাবনা এবং আচরণের মাধ্যমে, আমরা নিজেকে এবং বিশ্বকে ভাল করি, ভাল বা খারাপ করি।” গীতায় প্রধানত মানব জীবনের সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। গীতা পৃথিবীর একমাত্র ধর্মগ্রন্থ যা মানুষের স্তর, জীবনের মৌলিক প্রশ্ন এবং কর্মের নীতি সম্পর্কে অত্যন্ত সৌন্দর্য এবং সূক্ষ্মতার সাথে ব্যাখ্যা করে। শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী মহানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, ধর্ম চেতনা ও ধর্মবোধ মানুষকে সত্য সনাতন সুন্দরের পথে পরিচালিত করার ফলে সমাজ থেকে অন্যায়-অনাচার দূরীভূত হয়। ধর্মবোধ মানুষকে ন্যায়ের শিক্ষা দিয়ে সভ্য করেছে। নিষ্কাম কর্ম ও অন্ধকারাচ্ছন্ন পথ থেকে উত্তরণের জন্য মনুষ্যত্বের সাধনা করাই হলো গীতা শিক্ষা। তাই গীতার আদর্শ ও উদ্দেশ্য বুকে ধারণ করতে পারলে সুন্দর সমাজ বিনির্মাণ হবে।

তিনি আরও বলেন, বুধবার মঙ্গলারতি, শ্রীশ্রী চণ্ডীপাঠ, শ্রীশ্রী গুরু পূজা,সমগ্ৰ বিশ্বের শান্তি কামনায় বিশ্বশান্তি গীতাযজ্ঞ, ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ, বস্ত্র বিতরণ ও পরবর্তী সময়ে দেশ-বিদেশ থেকে আগত শান্তিবানী পাঠের মাধ্যমে এই শিলডুবি শঙ্করজ্যোতি গীতাশ্রমের ৩৮ তম বার্ষিকী অনুষ্ঠানমালার সমাপ্ত হবে।এদিন সনাতন ধর্ম সম্মেলনের সঞ্চালনায় ছিলেন আচার্য জ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ। এই তিন দিন ব্যাপী অনুষ্ঠানমালার পরিচালনায় ছিলেন সভাপতি দিলীপ মিত্র, সহ-সভাপতি নেপাল চৌধুরী, চানি লাল গোয়ালা, রতন দে, সম্পাদক মিঠু চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক প্রিয়তোষ মিত্র, মিন্টু মিত্র, কাজল দে, দয়াল দে, শচীন চৌধুরী, প্রণব দত্ত, পুতুল গোয়ালা, রাজু মিত্র, প্রীতম চৌধুরী, শ্যামল দেব, সজল রায়, কোষাধ্যক্ষ রেবতি রঞ্জন তালুকদার সহ অন্যান্যরা।

Author

Spread the News