‘বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট’ ছেড়ে বিজেপিকে নতুন চিন্তাধারা করার আবেদন সুস্মিতার
এস চক্রবর্তী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৭ অক্টোবর : অসমে বিদেশি শনাক্তকরণে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চকে ভিত্তিবর্ষ হিসেবে বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট। উচ্চতম ন্যায়ালয়ের সাংবিধানিক বিচারপিঠের এই ঐতিহাসিক রায়কে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করলেন সাংসদ সুস্মিতা দেব। বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুস্মিতা দেব জানান, “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্টে” যাঁরা ১৯৫১ সালের ভিত্তিবর্ষ চেয়েছিল সেটা বাতিল করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি ৫২টি সুপারিশ মেনে অসমে “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” কার্যকর করার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। কারণ সেই রিপোর্ট অসম চুক্তির প্রসঙ্গ টেনে “আসামিস পিউপিল” শব্দের বিশ্লেষণ করতে গিয়ে” পেজ ৪৩-এ” বারবার ১ জানুয়ারি ১৯৫১ সালের কথা বলেছে। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেটি বাতিল করে বর্তমানে যে রায় দিয়েছে, তাতে অসম সরকার রাজ্যে “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” কার্যকর করতে পারবে কি না সেটা চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট পরিষ্কার বলে দিয়েছে অসমে বিদেশি শনাক্তকরণে ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ ভিত্তিবর্ষ হিসেবে বহাল থাকবে। তাই রাজ্য সরকার “বিপ্লব শর্মা কমিটির রিপোর্ট” নিয়ে যে কাজটা করতে চলেছে তা ছেড়ে দিয়ে ১৯৭১ সালকে মেনে এক নতুন চিন্তাধারা করার শাসক দলকে আহ্বান জানিয়েছেন সুস্মিতা দেব।১৯৫১ সালের আগে আসামে চা-জনজাতি, হিন্দিভাষী, কোচ রাজবংশী, ডিমাসা, বড়ো, বাঙালি সহ অন্যান্য ভাষাগোষ্ঠীর মানুষ ছিল। এবং পরবর্তীতে ভাষার ভিত্তিতে বিভিন্ন রাজ্য অসম থেকে বেরিয়ে এসেছিল। ফলে “আসামিস পিউপিলের” ভাষা-সংস্কৃতি ও পরিচয়কে যদি অসম চুক্তিকে মেনে সুরক্ষা দিতে হয় তাহলে সব ভাষাকে সামনে রেখে সুরক্ষা দিতে হবে বলে মনে করছেন সুস্মিতা দেব। “বিপ্লব শর্মা কমিটি” নিয়ে বিজেপি সরকার ১৯৭১কে ১৯৫১ সালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু উচ্চতম ন্যায়ালয়ের রায়ে সেটা আর সম্ভব হবে না। তাই ১৯৭১কে মেনে নিয়ে শাসক দল বিজেপিকে নতুন চিন্তা করার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।