কলকাতায় মা-মেয়ের ট্রলিব্যাগে বন্দি দেহাংশ যোরহাটের সুমিতার

বরাক তরঙ্গ, ২৬ ফেব্রুয়ারি : কলকাতায় মা-মেয়ের ট্রলিব্যাগে বন্দি দেহাংশ যোরহাটের মহিলার। জানা যায়, চার মাস আগে যোরহাটের সুমিতা ঘোষ নামে ওই মহিলা কলকাতায় তাঁর ভাইপোর বাড়িতে গিয়ে ছিলেন। কিন্তু সুমিতা ঘোষের সুস্থ দেহ আর ফিরে আসেননি। কলকাতার কুমারটুলি গঙ্গাঘাটের কাছে সুমিতা ঘোষের মৃতদেহ পাওয়া যায়। দেহভর্তি ট্রলিব্যাগে নিয়ে আসার সময় সুমিতার ভাইপোর পত্নী ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষ ধরা পড়েন।

কয়েক বছর আগে বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া সুমিতা ঘোষ যোরহাটের এক সুপরিচিত ব্যবসায়ীর কন্যা ছিলেন। নিঃসন্তান সুমিতা ঘোষ নিজের বাড়িতে একা থাকতেন। চার মাস আগে যোরহাট থেকে কলকাতায় নিজের ভাইপোর পত্নী ‌ফাল্গুনীর বাড়িতে গিয়েছিলেন সুমিতা। কোনও বিষয় নিয়ে তাঁদের দু’জনের সঙ্গেই তর্ক হয়েছিল। ফাল্গুনী ঘোষের ধাক্কায় সুমিতা ঘোষের দেওয়ালে মাথায় আঘাত করে অজ্ঞান হয়ে যান। কিছুক্ষণ পর চেতনা ফিরিয়ে এলে ফের ঝগড়া শুরু দু’জনের মধ্যে। সুমিতা ঘোষকে ইট দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে ফাল্গুনী। ফাল্গুনী ঘোষ ও তার মা আরতি ঘোষ ট্রলি ব্যাগে দেহটি ভরে গঙ্গাঘাটে পৌঁছোয়। ফেলতে গিয়ে আটক দুই মহিলা। অভিযোগ, ট্রলিব্যাগে রয়েছে এক মহিলার টুকরো টুকরো করে কাটা দেহ।

কলকাতায় মা-মেয়ের ট্রলিব্যাগে বন্দি দেহাংশ যোরহাটের সুমিতার

মঙ্গলবার সাতসকালে কলকাতার আহিরীটোলা ঘাটে ওই ট্রলিব্যাগ হাতে দুই মহিলাকে জেরা শুরু করেন স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। এরপর দেখা যায় মুণ্ডহীন সুমিতার রক্তমাখা দেহের টুকরো। পুলিশ দুই মহিলাকে আটক করা হয়েছে। পুলিশের তদন্তে জানা গেছে, মধ্যমগ্রামের বাড়ি থেকে দেহটি প্রথমে স্যুটকেসে ভরা হয়। তারপর ভ্যানে করে দোলতলা, সেখান থেকে ট্রেনে পার্ক সার্কাস এবং শেষে ট্যাক্সিতে করে কুমারটুলি ঘাটে পৌঁছানো হয়। ঘটনার পর ভ্যান ও ট্যাক্সিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাঁরা দাবি করেছেন, তাঁদের কিছুই জানা ছিল না। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে শিলিগুড়িতে এক আত্মীয়ের বাড়িতেও চুরি করতে গিয়ে ধরা পড়েন ফাল্গুনী ঘোষ।

Author

Spread the News