গৌরব গগৈর উত্থানে শ্রীভূমিতে উৎসবের আমেজ — উল্লাসে মাতলেন সুব্রত-সাহাদতত
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ২৭ মে : অসম প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতির পদে গৌরব গগৈর নিযুক্তিতে শ্রীভূমি জেলার রাজনীতিতেও সঞ্চার করেছে এক নতুন উদ্দীপনা ও উৎসাহের জোয়ার। কংগ্রেসের আদর্শে বিশ্বাসী শ্রীভূমির বহু নেতাকর্মীর কাছে গৌরব গগৈ দীর্ঘদিন ধরেই অনুপ্রেরণার প্রতীক। তাই তাঁর এই ঐতিহাসিক রাজনৈতিক সাফল্যে আনন্দে উদ্বেল হয়ে ওঠেন জেলার বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা সুব্রত দে ও সাদত আহমেদ চৌধুরী।প্রদেশ, সভাপতি হিসেবে গৌরব গগৈই এর নাম প্রকাশ হওয়ার পর সোমবার রাতে শ্রীভূমি শহরের প্রাণকেন্দ্র ইন্দিরা ভবনের সামনে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তাঁরা উদযাপন করেন গৌরব গগৈর সভাপতি পদে অভিষেক। ঢাক-ঢোল, বাজি-পটকা আর মিষ্টি বিতরণের মাধ্যমে গোটা শহরে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দের রোশনাই। পথচারীরাও থেমে উপভোগ করেন এই আবেগঘন মুহূর্ত। সুব্রত ও সাদত দুই নেতাই পথচারীদের মিষ্টি খাইয়ে আনন্দ ভাগ করে নেন।
সুব্রত দে বলেন, গৌরব গগৈর সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি আত্মিক। তিনি সততার প্রতীক, তরুণ প্রজন্মের জন্য এক উজ্জ্বল বাতিঘর। তাঁর নেতৃত্বে অসমে কংগ্রেস যেমন সংগঠিত হবে, তেমনি গোটা উত্তর-পূর্ব ভারতে দল ফিরে পাবে তার হারানো গৌরব।
একই আবেগে সাদত আহমেদ চৌধুরী বলেন, “যিনি লোকসভার বিরোধী নেতা হিসেবে সাহসিকতার সঙ্গে সত্যের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন, সেই গৌরব গগৈর এই পদোন্নতি শুধু অসম নয়, সমগ্র দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে এক আশার আলো।”
কলিয়াবরের সাংসদ গৌরব গগৈর সঙ্গে শ্রীভূমির অনেক নেতারই রয়েছে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। তাঁর চিন্তাভাবনা, জনসংযোগ ও সংগ্রামী মনোভাব আজ শ্রীভূমির তরুণ নেতৃত্বের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, গৌরব গগৈর সভাপতি পদে আগমন কংগ্রেসের জন্য এক ইতিবাচক বার্তা। তাঁর তরুণ নেতৃত্ব, সংগঠনের প্রতি দায়বদ্ধতা ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন চিন্তাভাবনা কংগ্রেসকে ফিরিয়ে আনতে পারে নতুন উচ্চতায়।
এই প্রতিবেদককে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে শ্রীভূমি জেলা কংগ্রেসের প্রশাসনিক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত দে বলেন, গৌরব গগৈ কেবল একজন রাজনীতিবিদ নন, তিনি আমাদের আশা, সাহস ও সংগ্রামের প্রেরণা। তাঁর নেতৃত্বগুণ, সততা ও ভবিষ্যত ভাবনা কংগ্রেসকে দেবে এক নতুন রূপ। আজকের এই আনন্দ শুধু একজন নেতার সাফল্য নয়, এটি বিশ্বাস ও আদর্শের জয়ের দিন।”
অন্যদিকে, জেলা কংগ্রেসের আরেক সাধারণ সম্পাদক সাদত আহমেদ চৌধুরী বলেন, গৌরব গগৈর এই পদোন্নতি কেবল কংগ্রেসের জয় নয়—এটি নীতির জয়, তরুণ নেতৃত্বের জয়, এবং গণতন্ত্রে আশার পুনর্জাগরণ। তিনি সেই বিরল নেতা যাঁর চোখে স্বপ্ন আছে, কণ্ঠে সাহস আছে, আর হৃদয়ে জনতার জন্য দায়বদ্ধতা আছে।
তিনি আরও বলেন, অসম প্রদেশ কংগ্রেস তাঁর হাত ধরে নতুন পথ চলা শুরু করবে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক, উন্নয়নমুখী ও জনসংযোগনির্ভর রাজনীতির দিকে। আমরা গর্বিত, গৌরববাবুর মতো এক নেতার সঙ্গে আদর্শের বন্ধনে আবদ্ধ হতে পেরে।
গৌরব গগৈ আজ শুধু একজন সভাপতি নন, তিনি হাজারো তরুণের স্বপ্নের প্রতীক। তাঁর প্রতি সুব্রত দে ও সাদত আহমেদের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা কেবল একজন নেতার জয় নয়—এটি একটি ভবিষ্যতের ছায়াচিত্র, যেখানে কংগ্রেস আবার জেগে উঠবে শক্তি ও আত্মবিশ্বাস নিয়ে।প্রদেশ সভাপতি গৌরবের নেতৃত্ব শ্রীভূমির আকাশ যেন গর্জে উঠছে নতুন নেতৃত্ব, নতুন প্রত্যয়, এবার আবার কংগ্রেসের জয়!