নগাঁওয়ে টিউশন থেকে ফেরার পথে গণধর্ষনের শিকার ছাত্রী
বরাক তরঙ্গ, ২২ আগস্ট : টিউশন থেকে ফেরার পথে গণধর্ষণের শিকার হলো নঁগাও জেলার ধিং এলাকার ১৪-বছরের এক ছাত্রী। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ছয়টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে এবং অচেতন অবস্থায় রাস্তার পাশে তাকে ফেলে চলে যায় তিন ধর্ষক।
পুলিশ সুপার স্বপ্ননীল ডেকা জানিয়েছেন, সন্ধে ৬-৫০ নাগাদ এলাকার লোকেরা তাদের খবর দেন এবং প্রায় অচেতন অবস্থায় মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। তিনি বলেন, ‘মেয়েটির অবস্থা ভালো নয় এবং সে বারবার জ্ঞান হারাচ্ছে। এর মধ্যেই সে আমাদের জানিয়েছে, তিন ব্যক্তি মিলে তাকে গণধর্ষণ করেছে। আমরা তার বয়ানের উপর নির্ভর করে একটি মামলা গ্রহণ করেছি এবং তদন্ত শুরু হয়েছে।
পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এদিন বিকেলে টিউশনে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বেরিয়ে ছিল মেয়েটি। তবে তার ফিরতে দেরি হওয়ায় তারা কিছুটা চিন্তায় পড়েন। খানিকটা খোঁজাখুঁজির পর তাকে রাস্তার পাশে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ সুপার বলেন, ‘প্রথমে মেয়েটিকে স্থানীয় এক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তবে চিকিৎসকরা তাকে নঁগাও মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যেতে বলেন। তদন্তের খাতিরে যেসব মেডিক্যাল পরীক্ষা করতে হয় সেগুলো চলছে। এর রিপোর্ট এলে জানা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছিল কিনা। আপাতত তার বয়ানের উপর ভিত্তি করে আমরা মামলা গ্রহণ করেছি।’
ঘটনায় এলাকায় তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে এবং তাদের যেন কঠোর শাস্তি হয়, সেই ব্যবস্থা নিতে হবে। তারা শুক্রবার সকাল পাঁচটা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বনধ আহবান করেছেন। পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, এখনও দোষীদের সনাক্ত করা যায়নি কারণ মেয়েটি পুরোপুরিভাবে সুস্থ নয়। সে সুস্থ হয়ে উঠলে তার বয়ান রেকর্ড করা হবে এবং যদি সে দোষীদের শনাক্ত করতে পারে তাহলে তাদের গ্রেফতার করা হবে।