শ্রীভূমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাংস্কৃতিক শাখার বর্ণময় আয়োজন

১৮ সেপ্টেম্বর ৬টায় জেলা গ্রন্থাগারে পুরস্কার ও শংসাপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান

মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৭ সেপ্টেম্বর : শ্রীভূমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাংস্কৃতিক শাখার উদ্যোগে শহরজুড়ে একাধিক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এতে জেলার প্রতিভাবান শিশু, কিশোর-কিশোরী ও যুবদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন স্থানে পরপর এই অনুষ্ঠানগুলি চলতে থাকে, অংশগ্রহণ কারীরা নিজেদের শিল্পকলা ও প্রতিভার প্রদর্শন করে।

শ্রীভূমি জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাংস্কৃতিক শাখার বর্ণময় আয়োজন

প্রথমে জেলা ক্রীড়া সংস্থার ক্লাব হাউসে অনুষ্ঠিত হয় অঙ্কন প্রতিযোগিতা। ছোট থেকে বড় নানা বয়সের অংশগ্রহণকারীরা তাঁদের রঙ-তুলির কারুকার্যে ফুটিয়ে তোলে প্রকৃতি, সংস্কৃতি ও কল্পনার অসীম সৌন্দর্য। প্রতিযোগিতার বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন বিশিষ্ট শিল্পী আমিতাভ চৌধুরী।

এদিন স্থানীয় বিএড কলেজ প্রাঙ্গণে আয়োজিত হয় রবীন্দ্রনৃত্য ও সৃজনশীল নৃত্য প্রতিযোগিতা। নৃত্যের ছন্দে ও দেহভঙ্গিমায় উঠে আসে কবিগুরুর গানের ভাব, সৃজনশীলতার দীপ্তি এবং তরুণ প্রজন্মের অভিনব সৃজনশক্তি। এই প্রতিযোগিতার বিচারকের আসনে ছিলেন সুপরিচিত নৃত্যশিল্পী মধুমিতা দাস ভট্টাচার্য্য এবং খ্যাতনামা শিল্পী দিব্যজ্যোতি চক্রবর্তী।

এছাড়া বিপিনচন্দ্র পাল স্মৃতি ভবন প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হয় রবীন্দ্রসংগীত ও নজরুলগীতি প্রতিযোগিতা। অংশগ্রহণকারীদের কণ্ঠে ভেসে আসে রবীন্দ্রনাথের মানবিক বাণী ও নজরুলের প্রতিবাদী স্পন্দন। সুরের মূর্ছনায় মুখরিত হয়ে ওঠে প্রেক্ষাগৃহ। সংগীত প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন সংগীত শিল্পী সংগীতা মজুমদার এবং সঙ্গীতজ্ঞ শ্যামল ধর।

প্রতিযোগিতা শেষে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রতিটি বিভাগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারী বিজয়ীদের পুরস্কৃত করা হবে। পাশাপাশি প্রতিটি প্রতিযোগীকে তাদের অংশগ্রহণের স্বীকৃতি স্বরূপ প্রদান করা হবে শংসাপত্র।

এই পুরস্কার ও শংসাপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যা ৬টায় জেলা গ্রন্থাগার প্রেক্ষাগৃহে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিশিষ্ট অতিথিবৃন্দ, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও ক্রীড়াজগতের প্রতিনিধিরা। সেইসঙ্গে প্রতিযোগীদের প্রাণোচ্ছল পরিবেশনা ও দর্শকদের উৎসাহে ভরে উঠবে সেদিনের আসর।

এ দিনের সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা শুধু অংশগ্রহণকারীদের প্রতিভার প্রকাশই নয়, বরং জেলার সাংস্কৃতিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। শিশু ও তরুণ প্রজন্মকে উৎসাহিত করার এই প্রয়াস নিঃসন্দেহে জেলার সংস্কৃতি ও ক্রীড়াচর্চার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

Spread the News
error: Content is protected !!