শ্রীভূমিতে গঠিত জুবিন গর্গ স্মরণ সমিতি
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৭ অক্টোবর : শ্রীভূমি জেলার শহরে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করলো জুবিন গর্গ স্মরণ সমিতি। অসমের সঙ্গীত জগতের সম্রাট, জনপ্রিয় গায়ক জুবিন গর্গের অমলিন স্মৃতিকে ধরে রাখতে এই বিশেষ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার শহরের এক অভিজাত হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাক্তন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আশিস নাথসহ বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিরা উপস্থিত থেকে সমিতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন। বর্ণালী দত্ত, রাকেশ মালা, নন্দ কিশোর বণিক, বাপ্পন নমশূদ্র, সাংবাদিক অরূপ রায়সহ আরও অনেকে মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক বৈঠকে আশিস নাথ জানান, জুবিন গর্গের শৈশব কেটেছে করিমগঞ্জ তথা বর্তমান শ্রীভূমি জেলায়। এখানে রয়েছেন তাঁর সহপাঠী ও বাল্যবন্ধুরা। তাই জেলার মানুষ তাঁর স্মৃতিকে ধরে রাখতে একটি স্থায়ী প্রতীক চাইছিলেন। সেই ভাবনা থেকেই গড়ে উঠেছে জুবিন গার্গ স্মরণ সমিতি। খুব শীঘ্রই শহরে জুবিন গর্গের একটি স্মৃতিস্তম্ভ বা মূর্তি স্থাপন করা হবে।
প্রস্তাবিত উদ্যোগসমূহ মধ্যে রয়েছে সরকারি সেই ভূমি উদ্ধার করা, যেখানে জুবিন বাবার সঙ্গে বসবাস করেছিলেন। শ্রীভূমিতে জুবিন গর্গের একটি মূর্তি স্থাপন তাঁর নামে একটি মিউজিয়াম গঠন। শহরের একাধিক স্থানের নামকরণ জুবিন গার্গের নামে। বার্ষিক জুবিন গার্গ শিল্পী সম্মান চালু করা।
এদিনের সভায় সমিতির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সভাপতি পদে দায়িত্ব নেন নন্দ কিশোর বণিক, সম্পাদক আশিস নাথ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক অরূপ রায়, প্রচার সম্পাদক পিকলু দাস ও ভাস্কর কিশোর দে। কোষাধক্ষ্য পদে সব্যসাচী কর এবং সহ-কোষাধক্ষ্য সানি দে মনোনীত হন। সহ-সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন অঞ্জন গোস্বামী, জিতুল সনোয়াল, গৌরিস নন্দি, পৃথম দে ও বর্ণালী দত্ত প্রমুখ। সহ-সম্পাদক পদে যুক্ত হয়েছেন রাকেশ মালাহ, শিবু দত্ত, শুভম রায় ও বাপন নমশূদ্র।
সমিতির মুখ্য পৃষ্ঠপোষক হয়েছেন দুই মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু পাল ও কৌশিক রাই। এছাড়াও যুক্ত হয়েছেন বিশিষ্টজন কৃপানাথ মালা, বিশ্বরূপ ভট্টাচার্য, মিশনরঞ্জন দাস, রবীন্দ্রচন্দ্র দে, সঞ্জীব বণিক, তাপস পুরকায়স্থ ও সুব্রত ভট্টাচার্য প্রমুখ।
জেলার সকল বিধায়ক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধি এবং সমাজের বিভিন্ন স্তরের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গকেও সমিতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
সভায় উপস্থিত অতিথিরা একবাক্যে মত দেন এই উদ্যোগ শুধু জেলার মানুষের আবেগকে সম্মান জানাবে না, বরং শ্রীভূমিকে এক নতুন সাংস্কৃতিক উচ্চতায় পৌঁছে দেবে এবং আগামী প্রজন্মের কাছে জুবিন গর্গের অবদানকে চিরস্মরণীয় করে রাখবে।