সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে পলিথিনে জড়ানো অবস্থায় সাংসদের কিছু দেহাংশ উদ্ধার

২৯ মে : কুচি কুচি করে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিমকে। চিকিৎসা করাতে তিনি কলকাতায় এসেছিলেন। তারপর থেকেই নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। পরে জানা যায়, সাংসদকে নিউ টাউনের একটি ফ্ল্যাটে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনায় খুনি কসাই জিহাদ হাওলাদারকে সিআইডি গ্রেফতার করলেও সাংসদের দেহের হদিশ কিছুতেই মিলছিল না। অবশেষে মঙ্গলবার বিকেলে নিউ টাউন থানার সঞ্জীবা আবাসনের বিইউ-৫৬ ফ্ল্যাটের সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে একটা পলিথিনে জড়ানো অবস্থায় এই দেহাংশ পেয়েছেন সিআইডির গোয়েন্দারা। ওজন প্রায় ৪ কেজি। এই মাংসের টুকরো এবার ফরেনসিকের জন্য পাঠানো হবে।

রবিবারই সাংসদের হত্যাকাণ্ডের তদন্তে কলকাতায় এসেছে ঢাকার গোয়েন্দাদের তিন সদস্যের দল। মঙ্গলবারও সিআইডির সঙ্গে যৌথভাবে তদন্ত চালান বাংলাদেশ পুলিশের গোয়েন্দারা। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন রশিদ অনুরোধ করেন, যে আবাসনে সাংসদ ছিলেন, সেখানকার বাথরুমের কমোডের ফ্লাশের নিকাশিও যেন পরীক্ষা করে দেখা হয়। গোয়েন্দাদের সন্দেহ ছিল, বাথরুমে গিয়ে ফ্লাশ করা হয়ে থাকতে পারে সাংসদের দেহের টুকরোগুলি। সেই অনুরোধ মেনেই মঙ্গলবার সাংসদের দেহাংশের খোঁজে তদন্তকারীরা যান নিউটাউনের সেই ফ্ল্যাটে। সেখানকার নিকাশি পাইপ, সেপটিক ট্যাঙ্ক পরীক্ষা করা হয়। এছাড়া আবাসনের উল্টোদিকে বাগজোলা খালেও তল্লাশি চলে। দিনভর টানা তল্লাশি অভিযানের পর সেপটিক ট্যাঙ্ক ভাঙা হয়। এরপর সন্ধে নাগাদ সেই পাইপ থেকেই সাংসদের কিছু মরদেহের খণ্ডাংশ পাওয়া গেছে বলে জানায় তদন্তকারী দল।

এদিন ঢাকা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন রশিদ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘তদন্ত ঠিক পথে এগোচ্ছে। আমরা এখনও দেহাংশ উদ্ধারের ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের হাতে ইতিমধ্যে যা তথ্যপ্রমাণ রয়েছে তাতে অপরাধীদের সাজা দিতে বেগ পেতে হবে না।’

এদিকে, বাংলাদেশের সাংসদ খুনে এখনও পলাতক ৪ অভিযুক্ত। তাঁদের বিরুদ্ধে লুক আউট নোটিশ জারি করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত সাংসদের বাল্যবন্ধু আখরাউজ্জামান। বাকি তিন জন হলেন, সিয়াম, মুস্তাফিজুর রহমান ও ফয়জল। দেশের যে কোনও বন্দর বা বিমানবন্দরে দেখা গেলেই এদের আটক করতে নির্দেশ দিয়েছেন সিআইডি কর্তারা।
খবর : উত্তরবঙ্গ সংবাদ।

Author

Spread the News