সোশ্যাল মিডিয়ায় আল্লামা সারিমুলকে নিয়ে কটুক্তি, কঠোর হুঁশিয়ারি
মোহাম্মদ জনি, পাথারকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ সেপ্টেম্বর : সম্প্রতি সময়ে লক্ষ করা গেছে বিভিন্ন সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় ধর্মীয় পণ্ডিতদের নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্যের প্রবণতা দিন দিন বাড়ছে। এরই জেরে রামকৃষ্ণনগর সমাজেলা এলাকায় ঘটে যাওয়া একটি কাণ্ডকে ঘিরে সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা সামাজিক অশান্তি ও বিভেদের আশঙ্কা তৈরি করেছে। কয়েকদিন ধরে কিছু ব্যক্তি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশিষ্ট মাওলানা ও ইসলামিক পণ্ডিত আল্লামা সারিমুল হকের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য ও কুরুচিকর ভিডিও ছড়িয়ে দিচ্ছেন। এর ফলে মুসলিম সমাজে বিভাজন সৃষ্টির পাশাপাশি শান্তি-সম্প্রীতির পরিবেশ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই প্রেক্ষাপটে বৃহস্পতিবার শ্রীভূমি জেলার সেটেলমেন্ট সাহেববাড়িতে সূফি সৈয়্যিদ মুফিদুল হোসেন মাদানির নেতৃত্বে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ছিলেন করিমগঞ্জ জেলা জুলুসে কমিটির কর্মকর্তারা এবং বহু বিশিষ্ট আলেম-ওলামা।
সভা শেষে সূফি সৈয়্যিদ মুফিদুল হোসেন কড়া হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় আল্লামা সারিমুল হকের বিরুদ্ধে করা কটুক্তিমূলক ভিডিও ও মন্তব্য যদি মুছে ফেলা না হয়, তবে তাঁরা প্রশাসনের দ্বারস্থ হবেন। ইসলাম শান্তির ধর্ম। অথচ অযথা অপমানজনক মন্তব্য করে বিভিন্ন সংগঠনের মধ্যে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা হচ্ছে। এটি ইসলাম বিরোধী এবং সমাজ ধ্বংসের কারণ হতে পারে। আহলে সুন্নাত, নদুয়াতুত তামির, জমিয়ত উলামা, তাবলীগ জামাতসহ সব সংগঠনই মূলত সুন্নি মতাদর্শী ও হানাফি মাজহাব অনুসারী। আকিদাগত সামান্য মতপার্থক্য থাকলেও সেটি কখনো বিভেদ সৃষ্টির কারণ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, “এক সংগঠনের লোক অন্য সংগঠনের শ্রদ্ধেয় পীর-মুর্শিদকে অপমান করলে পাল্টা প্রতিক্রিয়া হবেই। এতে সমাজ অশান্তির পথে যাবে। তাই প্রতিটি সংগঠনের সচেতন ব্যক্তি ও আলিমদের এগিয়ে আসতে হবে। নচেৎ জাতির বিপর্যয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।

সূফী মুফিদুল হোসেন স্পষ্ট জানিয়েছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে মওলানা সারিমুল হককে নিয়ে করা সব অশালীন মন্তব্য ও কটুক্তি মুছে ফেলতে হবে। অন্যথায় তিনি নিজ সংগঠনের সদস্যদের নিয়ে আইনের দ্বারস্থ হবেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাবেন।এই গুরুত্বপূর্ণ সভায় করিমগঞ্জ জেলা জুলুসে কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাস্টার রশিদ আহমেদ, কারী ইমাদ উদ্দিন আত্তারী, মাওলানা এবাদ উদ্দিন, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মাওলানা বদরুল ইসলাম, মাওলানা আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী, আলতাফ হোসেনসহ আরও অনেক বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন।সভা শেষে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়, মুসলিম সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি রক্ষার স্বার্থে সবাইকে সচেতন হতে হবে এবং অপমানজনক মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে। একই সঙ্গে প্রশাসনকে এই ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়।