ঐতিহ্যবাহি লাতু-সজপুর জিপির দায়িত্বভার গ্রহণ সভানেত্রী স্নিগ্ধার
মোহাম্মদ জনি, শ্রীভূমি।
বরাক তরঙ্গ, ৩১ জুলাই : লাতু-সজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুন অধ্যায়ের সূচনা হলো। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে জয়ী হয়ে সভানেত্রী স্নিগ্ধা দাস আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। বৃহস্পতিবার শুভ দিনে তিনি তাঁর নতুন দায়িত্বে যোগ দেন।
দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠানটি ছিল অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল। উপস্থিত ছিলেন মালেগড় ব্লকের সহকারী বিডিও এবং জিপি সচিবের দায়িত্বে থাকা নিশীথরঞ্জন নাথ। তাঁর উপস্থিতিতে আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে এক মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন সংখ্যালঘু উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, উত্তর করিমগঞ্জ মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি পাপলু দেব, জিপি প্রাক্তন সভানেত্রী সম্পা ভট্টাচার্য, প্রাক্তন সভাপতি আব্দুল খালিক, বর্তমান সহ-সভানেত্রী রুফসানা বেগম, প্রাক্তন জেলা পরিষদ সদস্য আছান চৌধুরী, বিশিষ্ট সমাজসেবী আব্দুল করিম, কমর উদ্দিন, নৃপতি ভট্টাচার্য সহ অনেকে।
সকলের বিশ্বাস আর দায়িত্বকে সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে নতুন পথচলা দিনে আগামীতে যেন সততা, সাহস এবং উন্নয়নের স্বপ্ন নিয়ে এগিয়ে চলতে পারেন তার জন্য আশীর্বাদ কামনা করেন সভানেত্রী স্নিগ্ধা দাস। বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, দলীয় নেতৃত্বদের ভালোবাসা এবং মানুষের আস্থার জন্য তিনি কৃতজ্ঞ ও অনুপ্রাণিত, সব ধরনের মর্যাদা রাখতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ । তিনি বলেন, জিপি সভানেত্রী পদ শুধুমাত্র দায়িত্ব নয়, এটি জনসাধারণের ভালোবাসা ও বিশ্বাসের প্রতীক। লাতু-সজপুর গ্রাম পঞ্চায়েতকে একটি মডেল পঞ্চায়েত হিসাবে গড়ে তুলতে এবং জিপির সার্বিক উন্নয়নে বিগত দিনের ন্যায় আগামী দিনেও সবাইকে জিপির নব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পাশে থাকার আহ্বান রাখেন তিনি।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি উত্তর করিমগঞ্জ মণ্ডল প্রাক্তন সভাপতি পাপলু দেব বলেন, লাতু সজপুর জিপিতে এবার যা অসাধারণ ঐক্যে এবং নেতৃত্বের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হয়েছে। তিনি বলেন, গ্রামের উন্নতি ছাড়া দেশ ও রাজ্যের সার্বিক বিকাশ সম্ভব নয়। পঞ্চায়েতি রাজ ব্যবস্থা ভারতের গ্রামীণ প্রশাসনের একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ। দেশের সার্বিক উন্নতিতে পঞ্চায়েতীরাজ ব্যবস্থা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দেশের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পর গ্রামোন্নয়নে সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন । রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা দিন রাত এক করে কাজ করে যাচ্ছেন। ফলস্বরূপ উন্নয়নমূলক প্রকল্পগুলিকে যথাযথভাবে রূপায়ণ করে এবং জিপিকে সত্যিকার অর্থে এক কার্যকর ও গণমুখী প্রশাসনিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে সবার সহযোগিতা একান্ত ভাবে প্রয়োজন।
লাতু-সজপুর জিপিকে দক্ষিণ করিমগঞ্জের মধ্যে শ্রেষ্ঠ জিপি হিসাবে গড়ে তোলতে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন সংখ্যালঘু বোর্ডের চ্যায়ারমান ইকবাল আহমেদ।
বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি পদক্ষেপ নিতে হবে লাতু-সজপুর গাঁও পঞ্চায়েতের উন্নয়নের স্বার্থে ল। পরিকাঠামো পরিবর্তন করে একটি সুন্দর পরিবেশ গড়ে তোলতে হবে। বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতীক হলেন নির্বাচিত প্রতিনিধিরা। নবনির্বাচিত প্রতিনিধিদের আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে সকলে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।