ইজরায়েলের অস্ত্র বন্ধে স্লোভেনিয়ার প্রথম সাহসী সিদ্ধান্ত

১ আগস্ট : ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইজরায়েলের আক্রমণ ও সেখানে চলমান মানবিক বিপর্যয়ের প্রতিবাদে সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছে স্লোভেনিয়া। দেশটি প্রথম ইউরোপীয় রাষ্ট্র হিসেবে ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের অস্ত্র বাণিজ্য নিষিদ্ধ করেছে। মানবিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এমন পদক্ষেপকে ‘নৈতিক দায়িত্ব’ হিসেবে ব্যাখ্যা করেছে স্লোভেনিয়ার সরকার।

বৃহস্পতিবার দেশটির প্রধানমন্ত্রী রবার্ট গোলোবের কার্যালয় থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়, স্লোভেনিয়ার মন্ত্রিসভা ওইদিন সকালে অনুষ্ঠিত এক সরকারি বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এই নীতির আওতায় স্লোভেনিয়া থেকে ইজরায়েলে, ইসরায়েল থেকে স্লোভেনিয়ায় এবং স্লোভেনিয়ার ভূখণ্ড ব্যবহার করে অন্য কোনো দেশের উদ্দেশে অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম পাঠানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ থাকবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ইসরায়েল ইস্যুতে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হওয়ায়, স্লোভেনিয়া এককভাবে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছে বলে জানানো হয়।

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, “ইউরোপীয় ইউনিয়ন বর্তমানে অভ্যন্তরীণ মতবিরোধ ও ঐক্যের অভাবে ইজরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে আমাদের মতো দায়িত্বশীল রাষ্ট্রগুলোর উচিত, অগ্রণী হয়ে পদক্ষেপ নেওয়া।” বিবৃতিতে গাজার পরিস্থিতিকে ‘লজ্জাজনক’ বলে উল্লেখ করে বলা হয়, সেখানে মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে মরছে, পানীয় জল, খাদ্য ও চিকিৎসা সুবিধা না পেয়ে মৃত্যুবরণ করছে। সরকার এটিকে ‘মানবিক প্রবেশাধিকার পুরোপুরি অস্বীকার’ এবং ‘জীবনধারণের মৌলিক শর্তগুলো ইচ্ছাকৃতভাবে ধ্বংস করা’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

স্লোভেনিয়া সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়, বর্তমান ইজরায়েলি সরকার আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন মারাত্মকভাবে লঙ্ঘন করছে এবং সে কারণে তাদের বিরুদ্ধে আরও কিছু জাতীয় পর্যায়ের কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই প্রস্তুতি আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সম্পন্ন করা হবে।
খবর : দৈনিক ইনক্লাব পত্রিকা ডিজিটাল।

Spread the News
error: Content is protected !!