দলীয় আট সদস্য থাকার পরও কাঠখড় পুড়িয়ে এপি সভাপতির আসন দখল সিরিনের
বরাক তরঙ্গ, ১৭ জুলাই : সোনাই উন্নয়ন খণ্ড অধীন নয়টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে আটটি আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য পদে জয়ী হয় কংগ্রেস। এরপরও বোর্ড গঠন করতে গিয়ে কংগ্রেস প্রার্থী বেশ বেগ পেতে হয়েছে। সহজে আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সভাপতি করতে পারেনি কংগ্রেস। লবিবাজির দরুন আটজনের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি হয়। জয়ী একই সদস্যরা পরোক্ষভাবে বর্তমান এবং প্রাক্তন বিধায়কের ছত্রছায়ায় চলে যান। যার দরুন এপি সভাপতি পদে দাবিদার দুই কংগ্রেসি হয়ে যান। বেশ কাঠখড় পুড়ে অবশেষে পাঁচ সদস্যের সমর্থন আদায় করতে সক্ষম হন দক্ষিণ সৈদপুর জিপি সদস্যা শিরিন আক্তার লস্কর।

বৃহস্পতিবার সোনাই উন্নয়ন খণ্ডের কার্যালয়ে প্রথমে শপথগ্রহণ করেন ব্লকের আওতাধীন নয়জন এপি সদস্য। পরে বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু হয়। প্রথমে সভাপতি পদে দু’জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকলে ভোটাভুটি হয়। এতে ৫টি ভোট পেয়ে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি নির্বাচিত হন দক্ষিণ সৈদপুর জিপির এপি সদস্য সিরিনা আক্তার লস্কর। প্রতিদ্বন্দ্বী স্বাধীনবাজার জিপির এপি সদস্য ফাহমিদা ফাবিয়া আহমেদ তিনটি ভোট পেয়ে সভাপতির পদ থেকে ছিটকে পড়েন।

এ দিকে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের সহ-সভাপতি হন কচুদরম জিপির এপি সদস্য কাদির আহমেদ লস্কর।
উল্লেখ্য, সোনাই আঞ্চলিক পঞ্চায়েতের মোট নয় সদস্যের মধ্যে বিজেপির মাত্র একজন সদস্য রয়েছেন। ফলে এদিন বোর্ড গঠনের ভোটাভুটি থেকে বিরত থেকে শপথগ্রহণ করে বেরিয়ে পড়েন দক্ষিণ মোহনপুর জিপির এপি সদস্য বর্ণালী দাস। এদিন ব্লকে আঞ্চলিক পঞ্চায়েত গঠনে নিয়োজিত আধিকারিক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলার অ্যাসিস্টেন্ট কমিশনার অঞ্জলি কুমারি ও বিডিও মুকুল বসুমতারি। বোর্ড গঠনের পর কংগ্রেসের নেতাকর্মীরা সভাপতি ও সহ-সভাপতিকে ঘিরে আনন্দ উল্লাস করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন দুই জেলা পরিষদ সদস্য সাহিন লস্কর ও রাকা মজুমদার সহ ব্লক কংগ্রেসের কর্মকর্তারা।
৫ জন কংগ্রেস মনোনীত এপি সদস্যের সমর্থনের আদায় করে বৃহস্পতিবার সোনাই আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভানেত্রী পদে মনোনীত হয়েছেন দক্ষিন সৈদপুর জিপির এপি সদস্যা শিরিন আক্তার লস্কর এবং সহ-সভাপতি পদে মনোনীত হয়েছেন কচুদরম জিপির এপি সদস্য কাদির আহমেদ লস্কর।